মায়ের মৃত্যুর কিছুদিন আগে কী ভেবে যেন মায়ের পদপ্রান্তে বসে
চট করে তাঁর পদ চুম্বন করেছিলাম-
আর সেটিই ছিলো মায়ের প্রতি আমার সর্বোচ্চ নিবেদন, সর্বশেষ শ্রদ্ধা!
মা, তখন সোফায় বসে ছিলেন ছোটবোন ফরিদার বাসায়।
না, তখন আমার প্রিয় বোন ছিলোনা পৃথিবী পরে! –
ওর ছোট মেয়ে হুমায়রার বিয়েতে
মা আমার ফরিদপুর শহর থেকে এসেছিলেন –
একটা গেট টুগেদার হয়েছিল স্বজনদের মধ্যে ;-
এর ক’মাস পর আমার মা চলেগেলেন আল্লাহর আরশের ছায়াতলে!—
মা আমার বলেছিলেন, কি করিস পাগল ছেলে!
যে ঠোঁটে কালো পাথর চুমো দিয়েছিস, সেই ঠোঁটে পা ছুঁতে নেই!
মাকে সেদিন বলেছিলাম তোমার পা-ই আমার কালো পাথর -হজরে আসওয়াদ,
মায়ের পায়ের নীচে সন্তানের জান্নাত, ও মা আমাকে তুমি তোমার পায়ের নীচে ঠাঁই দাও আল্লাহর মর্জি মতো!
প্রত্যেক সন্তান তার বেহেশত পায়
মায়ের খেদমত করে
জান্নাত কখনো বড়ো নয় মায়ের পায়ের চেয়ে!
মা, তুমি তো জানো এটা,
মা আমার স্মিত হেসে বলেছিলেন পাগল ছেলে আমার।
মা, আমি জানি তোমার সেবা করা হজ্জের চেয়েও বেশি মূল্যবান!
তোমার মুখের দিকে মায়ার চোখে তাকালে একটা কবুল হজ্জের সওয়াব পাওয়া যায়!
মা, বাবার মূল্যমান আল্লাহর ঘরের চেয়েও অনেক অনেক বেশি!
মা তুমি আল্লাহর অসীম নেয়ামত!
মা আমি এখনও তোমার পদযুগল চুম্বন আশায় উৎকর্ণ হরিণ!