তেল চুলের জন্য ক্ষতিকর নাকি উপকারী?

লাইফস্টাইল

চুলের স্বাস্থ্যের জন্য তেল মাখা জরুরি, এ কথা যুগ যুগ ধরে সবার জানা। চুলের ঘরোয়া যত্নের ক্ষেত্রে তেলই সবার আগে আসে। চুলের নানা সমস্যা মেটাতে অনেকেই প্রাকৃতিক তেল ব্যবহার করেন। বাজারেও পাওয়া যাচ্ছে নানা ধরনের ও গুণের তেল।

যেমন নারকেল তেল, আর্গন অয়েল, অলিভ অয়েলে। সবাই চুলের ধরন অনুসারে চুলে তেল লাগিয়ে থাকেন। 

তবে তেলের অনেক উপকারিতা থাকলেও বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, নিয়মিত তেল মাখলে স্ক্যাল্পের রন্ধ্রগুলো বদ্ধ হয়ে যায়। সেখানে তেল জমে সংক্রমণের আশঙ্কাও বাড়ে।

এ ছাড়া মৃত কোষ, ধুলা-ময়লা পুরু হয়ে অন্যান্য সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। খুশকি, চুল পড়ার সমস্যাও বাড়তে পারে। 

তেল মাখলে চুলের ওপরে আর্দ্রতার একটি স্তর গঠন হয়। ফলে চুল সহজেই রুক্ষ-শুষ্ক হয়ে যায় না।

এ ছাড়া চুল ভেঙে পড়া, ফাটা ডগাসহ নানা সমস্যা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে, অনেকে মনে করেন তেল মাখলে চুল তাড়াতাড়ি বাড়ে। যদিও এ বিষয়ে বৈজ্ঞানিক কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।শীতে ঘন ঘন লিপবাম ব্যবহারই শেষ কথা?

কারো ক্ষেত্রে হেয়ার অয়েল উপকারী ভূমিকা পালন করলেও অনেকের চুলের ক্ষতির কারণ হতে পারে। বিশেষ করে স্ক্যাল্প যদি তৈলাক্ত হয়। এমনকি কোঁকড়া চুলের জন্যও এটি ক্ষতিকারক হয়ে উঠতে পারে।

মূলত তেল ভারী হওয়ার কারণে চুলের ওপরে চেপে বসে। তাহলে তেল কি চুলের সবচেয়ে বড় শত্রু? ঠিক এই কথা বলা যায় না। কারো চুলে এটি ক্ষতিকারক হতে পারে, আবার কারো জন্য এটি উপকারী। তাই আপনার চুলের ধরন বুঝে তেল ব্যবহার করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। 

এ ছাড়া জানতে হবে তেল মালিশের সঠিক নিয়ম। হালকা হাতে মিনিট দশেক ম্যাসাজ করুন। তাতে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। চুলের ফলিকলে পুষ্টি পৌঁছয়। তেল মাখার নির্দিষ্ট সময় পরে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে হলে কন্ডিশনার ব্যবহার করাও জরুরি। সপ্তাহে দুই দিনের বেশি তেল ব্যবহার করবেন না। অতিরিক্ত তেল চুলে দেবনে না এবং তেল লাগানোর পরে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে শ্যাম্পু করে নিন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ