Search
Close this search box.

আমি চাইলেও যেতে দেয়া হয় না বলে শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা ও সালাম জানিয়েছেন মমতা

শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা ও সালাম জানিয়েছেন মমতা

স্টাফ রিপোর্টার – সারা পৃথিবীতে আমাকে বক্তৃতা দিতে ডাকলেও আমি যেতে পারি না। আমাকে যেতে দেওয়া হয় না। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এমনটিই জানান। সোমবার ভারতের শিক্ষক দিবস উপলক্ষে কলকাতার মিলনমেলা প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের সামনে বক্তব্য রাখার সময় একথা কথা বলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে গেছেন। এই সফরে যে মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে স্বাক্ষাত হবে না, তা আরও স্পষ্ট হলো। শুধু তাই নয়, মমতা বুঝিয়েও দিলেন কেন তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা ও সালাম জানিয়েছেন মমতা।

কিছুটা আফসোসের সুরে মমতা বুঝিয়ে দেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চাইলেও তাঁকে ভারত সরকারের তরফে কোনো আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। পাশাপাশি তাঁর আফসোস, বিদেশে তাঁকে বক্তব্য রাখার জন্য আমন্ত্রণ জানালেও ভারত সরকার অনুমতি দেয় না।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সারা পৃথিবীতে আমাকে বক্তৃতা দিতে ডাকলেও আমি যেতে পারি না। কারণ, আমাকে যেতে দেওয়া হয় না। তাতে কোনো যায় আসে না। আজকে পবিত্র দিন, ৫ সেপ্টেম্বর, শিক্ষক দিবস। আমি জানি, আজ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লিতে এসেছেন। ভারতবর্ষে সম্ভবত ৫ থেকে ৮ তারিখ অবধি উনি আছেন। আমার ও পশ্চিমবাংলার মানুষের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা, অভিনন্দন এবং আমরা প্রণাম ও সালাম জানাই।

মমতা আরও বলেন, ওখানকার (বাংলাদেশ) শিক্ষকদেরও শ্রদ্ধা জানাই। কারণ সংস্কৃতির দিক থেকে ওদের-আমাদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। আর যারা অবাঙালি আছেন তারা মনে রাখবেন আমাদের একটাই ধর্ম। সেটা হলো মানবিক ধর্ম। মনে রাখবেন, আমরা যেটা বারবার বলি— ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। ধর্ম কারো ব্যক্তিগত বিষয় হতে পারে, কিন্তু উৎসব সবার।

প্রধানমন্ত্রী হাসিনা চলতি বছরের ১৯ জুলাই এক শুভেচ্ছা বার্তায় মমতাকে বলেছিলেন, সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের জন্য আমন্ত্রণ রইল। সেপ্টেম্বর, ২০২২-এ আমার নির্ধারিত নয়াদিল্লি সফরকালে আপনার সাথে সাক্ষাতের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা রাখি। দুই বাংলার ভাষা, সংস্কৃতি ও আদর্শগত সাদৃশ্যের ওপর ভিত্তি করে বিদ্যমান সম্পর্কের দৃঢ়তর করতে একযোগে কাজ করার বিকল্প নেই।

ভারত সফরে দিল্লিতে মমতার সঙ্গে দেখা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগ্রহী হলেও এই সফরে ভারত সরকারের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এর আগে ২০১৮ সালের ২৬ মে কলকাতার তাজবেঙ্গলে ৪০ মিনিট বৈঠক হয়েছিল শেখ হাসিনা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেবার দু’দিনের সরকারি সফরে ২৫ মে কলকাতায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের অংশগ্রহণ করেন এবং পরদিন পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলের কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মানসূচক ডক্টর অব লিটারেচার (ডি.লিট) উপাধিতে তাঁকে ভূষিত করা হয়েছিল। যে উপাধি প্রধানমন্ত্রী দুই বাংলার বাঙালিদের উৎসর্গ করেছিলেন।

এরপর ২০১৯ সালের ২২ নভেম্বর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলির আমন্ত্রণে কলকাতায় এসছিলেন শেখ হাসিনা। ২২-২৬ নভেম্বর কলকাতার ইডেন গার্ডেনে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যকার দিনরাতের গোলাপি বলের টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানে দুই নেত্রীর শেষ সাক্ষাৎ হয়েছিল।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ