আন্তর্জাতিক ডেস্ক – পুতিনের ক্রেমলিনের বাসভবনে ড্রোন হামলা হয়েছে। বাসভবনে ওপর ড্রোন হামলাকে ‘ইউক্রেনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আনাতোলি আন্তোনভ বলেছেন, এই হামলার চেষ্টার জন্য জবাব দেবে রাশিয়া।
রাশিয়ান বার্তা সংস্থা তাসকে তিনি বলেন, হোয়াইট হাউস, ক্যাপিটল হিল বা পেন্টাগনে ড্রোন আঘাত হানলে আমেরিকানরা কেমন প্রতিক্রিয়া দেখাবে? উত্তরটি যে কোনো রাজনীতিবিদের পাশাপাশি একজন সাধারণ নাগরিকও জানে- এর জবাব কঠোর এবং অনিবার্য হবে।
রাশিয়া ‘ইউক্রেনের নির্মম ও অহংকারী সন্ত্রাসী হামলা’র জবাব দেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা যখন প্রয়োজন মনে করবো তখন জবাব দেবো। কিয়েভ আমাদের দেশের জন্য যে হুমকি সৃষ্টি করেছে, তার মূল্যায়ন অনুযায়ী আমরা জবাব দেবো।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, এটি জেলেনস্কি সরকারের পরিকল্পিত একটি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রেসিডেন্টকে লক্ষ্য করে একটি হত্যার চেষ্টা, যুক্তরাষ্ট্র সুস্পষ্ট এই বিষয়টি স্বীকার করেনি। বিজয় দিবস এবং ৯ মে প্যারেডের আগে, যেখানে বিদেশি অতিথিদের অংশগ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে, সেই সময়টি বেছে নিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। এই সময়টি আকস্মিকভাবে বেছে নেওয়া হয়নি!
আনাতোলি আন্তোনভের মতে, মস্কো আশা করে মার্কিন প্রশাসন এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নিন্দা করার সাহস পাবে। বিশ্ব মনে রেখেছে, ২০০১ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টই প্রথম মার্কিন জনগণের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন, যারা তখন সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছিল। সবকিছু ভুলে গেছে। আজ যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভের অপরাধীদের রক্ষা করছে।
তিনি বলেন, ইউক্রেনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পরে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিবৃতিগুলো দ্বৈত মানদণ্ডের উদাহরণ। এটি জেলেনস্কি সরকারকে রাশিয়ান ফেডারেশনে আক্রমণ করতে উৎসাহিত করার নীতি ছাড়া কিছুই না।
পশ্চিমারা জেলেনস্কি সরকারকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য অপব্যবহার করছে উল্লেখ করে এই রুশ কূটনীতি বলেন, আমাদের শত্রুদের শান্তি খোঁজার, সাধারণ ইউক্রেনীয়দের হাজার হাজার জীবন বাঁচানোর কোনো ইচ্ছে নেই। বিশেষ সামরিক অভিযানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে আমাদের কৌশল নির্ধারণের সময় অবশ্যই আমরা এই পরিস্থিতি বিবেচনায় নেবো।
প্রসঙ্গত, গত ৩ মে রাতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের ক্রেমলিনের বাসভবনে দুটি ড্রোন হামলা চালানোর চেষ্টা করে ইউক্রেন। রুশ সামরিক বাহিনী ও বিশেষ বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে এগুলো ধ্বংস করে। পুতিনের কিছু হয়নি এবং নিয়মিত কাজ চালিয়ে যচ্ছেন।
ক্রেমলিন বলেছে, তারা এটিকে পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলা এবং রুশ প্রেসিডেন্টের ওপর হামলার চেষ্টা হিসেবে দেখছে। রাশিয়া সঠিক সময়ে এবং যেভাবে উপযুক্ত মনে করে প্রতিশোধ নেওয়ার অধিকার রাখে। তবে রাশিয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলছেন, আমরা মস্কো বা পুতিনের ওপর হামলা চালাইনি। আমরা আমাদের ভূখণ্ডে লড়াই করছি। আমরা আমাদের গ্রাম এবং শহরকে রক্ষা করছি।