আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের জ্বালানি তেল খাতের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে তেহরানকে শাস্তিস্বরূপ এই নিষেধাজ্ঞা দেয় দেশটি।
শনিবার (১২ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় বা ইউএস ট্রেজারি ও পররাষ্ট্র দপ্তর বা স্টেট ডিপার্টমেন্ট যৌথভাবে বিবৃতিতে জানায়, যেসব কোম্পানি এবং পরিবহন ইরানের তেল ব্যবসায় ও পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত সেগুলোর ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় ১৬টি সংস্থা ও ১৭টি জাহাজ রয়েছে যেগুলো ইরানের জ্বালানি তেল পরিবহনে ব্যবহার হয়ে থাকে। এ ছাড়া যারা ইরানের পেট্রোলিয়াম বা পেট্রোকেমিক্যাল খাতে কাজ করবে এমন ব্যক্তিদেরও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে স্টেট ডিপার্টমেন্ট।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিঙ্কেন জানান, ইরান যাতে তার পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি উন্নত করতে প্রয়োজনীয় অর্থসরবরাহ করতে না পারে সেজন্য তাদের রাজস্বের প্রবাহ কমাতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এতে করে তেহরান তার ‘সন্ত্রাসবাদী কাজের’ অংশীদারদের অর্থ দিয়ে সহায়তা করতে পারবে না।
উল্লেখ্য, গত ২৭ সেপ্টেম্বর ইসরায়েলের বিমনা হামলায় লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর মৃত্যু হয়। এরপর প্রতিশোধ হিসেবে গত ১ অক্টোবর রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ২০০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।
তেহরানের এমন হামলায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েলে মিসাইল ছুড়ে ইরান ‘বড় ভুল’ করেছে। এর মূল্য দিতে হবে তাদের। যদিও ইরানের সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি জানিয়েছেন, পাল্টা হামলা হলে ইসরায়েলজুড়ে সব স্থাপনায় হামলা চালানো হবে।