আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে ভারত। গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের মুখোমুখি করতে শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের বিষয়ে ভারতকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছে ঢাকা। এর মধ্যেই তার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে দিয়েছে দিল্লি।
দিল্লিভিত্তিক হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে ভারত সরকার। তবে ভারত ঠিক কবে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে তা এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনার রেসিডেন্ট পারমিটের মেয়াদ বাড়ান হয়েছে। তবে হাসিনাকে সরকারিভাবে ভারতে ‘রাজনৈতিক আশ্রয়’ দেওয়া হবে না। কারণ এই সংক্রান্ত কোনও নির্দিষ্ট আইন নেই ভারতে।
আরও বলা হয়, তবে হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করে বৈধভাবে তাঁকে ভারতে থাকতে দিতে সম্মত মোদী সরকার। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধিতে সবুজ সংকেত দেয়। এরপরই স্থানীয় ফরেন রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসের মাধ্যমে হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়।
এদিকে, জুলাই গণহত্যার সঙ্গে জড়িত থাকায় সরকার শেখ হাসিনাসহ ৭৫ জনের পাসপোর্ট বাতিল করেছে বাংলাদেশ সরকার। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই কথা জানান উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। এছাড়া গুম-হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকায় আরও ২২ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আজাদ মজুমদার জানান, ভারত সরকার এই বিষয়ে জানে এবং সেজন্য ট্রাভেল ডকুমেন্ট ইস্যু করা হয়েছে। পাসপোর্ট অধিদপ্তর থেকে আমাদের কাছে ৭৫ জনের পাসপোর্ট বাতিলের কথা জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গুম এবং অন্যান্য অপরাধের অভিযোগে ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। শেখ হাসিনা ও তার সহযোগী ১২ জনকে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হাজির করতে বলেছেন ট্রাইব্যুনাল।
হিন্দুস্তান টাইমস আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের এমন উদ্যোগকে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণে নয়াদিল্লির ওপর চাপ বৃদ্ধির প্রয়াস হিসেবে দেখা হচ্ছে।