বাইডেনের প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল নিতে যাননি মেসি

স্পোর্টস ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলে অসামান্য অবদান রেখেছেন লিওনেল মেসি। ইন্টার মায়ামির জার্সিতে খেললেও দেশটিতে অজনপ্রিয় ফুটবলকে নতুন করে চিনিয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। এই ভূমিকা রাখায় প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম পদকে ভূষিত হয়েছেন তিনি। তবে, বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছ থেকে সরাসরি  প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল নিতে যাননি আর্জেন্টাইন মহাতারকা।

অনুষ্ঠানে মেসিকে না দেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা। আর এই পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল নিতে না যাওয়ার কারণ সামনে এনেছেন মেসি নিজেই। গুঞ্জন থামিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন মেসি।

এ ব্যাপারে এক বিবৃতি আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড বলেন, ‘আমি এই পুরস্কার পেয়ে খুবই সম্মানিত বোধ করছি। এই মহৎ সম্মানের জন্য আমি যুক্তরাষ্ট্র ও প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। দুর্ভাগ্যবশত, অন্যান্য ব্যস্ততার কারণে আমি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারিনি।’

এছাড়া মেসির ক্লাব ইন্টার মায়ামি থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, ‘হোয়াইট হাউস প্রথমে ফিফাকে জানায়। গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে ফিফা আমাদের জানিয়েছে মেসিকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হবে। ক্লাবের মাধ্যমে মেসি একটি চিঠি পাঠিয়েছিল হোয়াইট হাউসে। যেখানে মেসি উল্লেখ করেন, তিনি গভীরভাবে সম্মানিত এবং এটি তার জন্য এক বিশাল প্রাপ্তি। তবে সূচিজট ও পূর্ব নির্ধারিত ব্যস্ততার কারণে তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারছেন না। ’

তর্কসাপেক্ষে সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার মেসি। প্রায় ২১ বছরের ফুটবল ক্যারিয়ারে গড়েছেন অসংখ্য রেকর্ড। আটবার করে জিতেছেন ব্যালন ডি’অর ও ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। পেশাদার ফুটবলে তার চেয়ে বেশি দলীয় ট্রফি (৪৫) জেতেননি আর কোনো ফুটবলার। তার নেতৃত্বেই ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা।

২০২৩ সালে পিএসজি ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেন মেসি। প্রথম মৌসুমেই দলকে জেতান লিগস কাপের শিরোপা। পরের মৌসুমে মেজর সকার লিগে ১৯ ম্যাচে ২০ গোলের পাশাপাশি ১৬ অ্যাসিস্টও করেন তিনি। যার ফলে তার হাতেই ওঠে লিগ সেরার পুরস্কার। শুধু তা-ই নয়, রেকর্ড ৭৪ পয়েন্ট নিয়ে মৌসুম শেষ করে মায়ামি।

ফুটবলে এমন নৈপুণ্য ছাড়াও লিও মেসি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সারা বিশ্বের শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে ও শিক্ষার প্রসারে সাহায্য করছেন মেসি। যার সুবাদেই যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ এই পদক পেয়েছেন মেসি।

উল্লেখ্য, ১৯৬৩ সাল থেকে সর্বোচ্চ এই বেসামরিক পুরস্কার দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ‘যুক্তরাষ্ট্রে সামাজিক উন্নয়ন, মূল্যবোধ ও নিরাপত্তায় অবদান; বিশ্বশান্তি অথবা সামাজিক, জনপরিসর কিংবা ব্যক্তিগত পর্যায়ে অবদান’ রাখায় দেওয়া হয় এই পুরস্কার।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

সর্বশেষঃ