প্রায় চূড়ান্ত গাজা ও ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তির চুক্তি চূড়ান্তের পথে। এই আলোচনার চুক্তির বিষয়ে জ্ঞাত ফিলিস্তিনের একজন কর্মকর্তা বিবিসিকে এই তথ্য জানিয়েছেন। এনিয়ে বিদায়ি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এই চুক্তি সফল হওয়ার দ্বারপ্রান্তে এবং তার প্রশাসন এই বিষয়ে জরুরিভাবে কাজ করছে।

অন্যদিকে ইসরায়েলি একজন কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, আলোচনা অগ্রসর স্থরে আছে এবং কয়েক ঘণ্টা বা কয়েক দিনের মধ্যে সম্ভাব্য এই চুক্তি হচ্ছে। বিবিসি বলছে, গত রোববার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেছেন জো বাইডেন।

এ ছাড়া  সোমবার ( ১৩ জাসুয়ারি) কাতারের শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানির সঙ্গে কথা বলেন বাইডেন। কাতার এই যুদ্ধবিরতির বিষয়ে মধ্যস্থতা করছে। ফিলিস্তিনের ওই কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, সোমবার একই ভবনে ইসরায়েলি ও হামাসের কর্মকর্তারা পরোক্ষ আলোচনা করেছেন। চুক্তির সম্ভাব্য কিছু বিস্তারিত নিয়ে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বলেছেন, চুক্তির শর্ত হিসেবে প্রথম দিন হামাসকে তিনজন জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে। এরপর গাজার জনবহুল এলাকা থেকে ইসরায়েল তাদের সেরা সরিয়ে নিতে শুরু করবে।

এই বিষয়ে উভয় পক্ষই সম্মত হয়েছে। এরপর সাতদিন পর হামাসকে আরও চারজন জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে। অন্যদিকে ইসরায়েল গাজার দক্ষিণাঞ্চলের বাস্তুচ্যুত লোকদের উত্তরে আসার অনুমতি দিবে। তবে তাদের পায়ে হেঁটে আসতে হবে। সালাহ আল-দিন রোড সংলগ্ন একটি রুট দিয়ে গাড়ি, পশুর টানা গাড়ি এবং ট্রাকগুলোকে অতিক্রম করার অনুমতি দেওয়া হবে। তবে কাতার ও মিশরের প্রযুক্তি নিরাপত্তা দল এক্স-রে মেশিন দিয়ে তা পরীক্ষা করবে। চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ইসরায়েলি বাহিনীকে ফিলাডেলফি করিডরে থাকার এবং পূর্ব ও উত্তর সীমানায় ৮০০ মিটার বাফার জোন বজায় রাখার শর্ত দেওয়া হয়েছে। এই ধাপ ৪২ দিন চলবে।

বিবিসি বলছে, চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েল এক হাজার বন্দি ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিতে রাজি হয়েছে। এসব বন্দির মধ্যে অন্তত ১৯০ জন আছেন যাদের শাস্তির মেয়াদ ১৫ বছর বা এর চেয়ে বেশি। অন্যদিকে হামাসকে ৩৪ জন জিম্মিকে মুক্তি দিটে হবে। যুদ্ধবিরতির ১৬তম দিনে চুক্তির দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনা শুরু হবে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এতে এখন পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা ৪৫ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে লক্ষাধিক। সেইসঙ্গে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ