যারা আমন্ত্রণ পেয়েছেন-
ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের তালিকায় ওপরের সারিতে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি এবং আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জেভিয়ার মিলেইর নাম রয়েছে। এর মধ্যে মিলেই এক মাস আগেই নিশ্চিত করেছেন, তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। চলতি মাসের শুরুর দিকে মেলোনি ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের মার–এ–লাগো রিসোর্টে যান। ট্রাম্প তাঁকে তখন এক ‘দুর্দান্ত নারী’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। শপথ অনুষ্ঠানেও তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। মেলোনির কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, সবকিছু ঠিক থাকলে তিনি অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশংসাকারী হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্ট ভিক্টর অরবানও আমন্ত্রণ পেয়েছেন। তবে অরবানের কার্যালয় থেকে হাঙ্গেরির সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছে, তিনি ওই অনুষ্ঠানে থাকতে পারছেন না।
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে গত মাসেই শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের হবু প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট গত মাসে ফক্স নিউজকে বলেছিলেন, এই অনুরোধ ‘সির সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনায় ট্রাম্পের আগ্রহকে’ ইঙ্গিত করছে। তবে বাস্তবতা হলো, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে কোনো চীনা রাষ্ট্রপ্রধানের উপস্থিত হওয়ার নজির নেই। সি চিন পিং চাইলেও তাঁর উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কারণ, চীনের জ্যেষ্ঠ নেতাদের বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে দেশটি বেশ কঠোর নিয়মনীতি অনুসরণ করে। কিন্তু সি উপস্থিত না থাকলেও এই অনুষ্ঠানে একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে ট্রাম্পের কাছে শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দেবেন সি। সির সম্ভাব্য প্রতিনিধিদের মধ্যে আছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট হান ঝেং এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই।
ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণ প্রক্রিয়ার দায়িত্বে থাকা দলের (ট্রানজিশন টিম) পক্ষ থেকে এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নায়িব বুকেলে ও ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়াকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বুকেলে থাকবেন কি না, এখনো নিশ্চিত নয়। তবে ওয়াশিংটনে সংক্ষিপ্ত সফরকালে ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন নোবোয়া।
অনুষ্ঠানে ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে ব্রাজিলে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলার কারণে পাসপোর্ট বাতিল হওয়ায় তিনি উপস্থিত থাকতে পারছেন না।
ট্রাম্পের সহযোগীরা যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত কারেন পিয়ার্সের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের ডানপন্থী রিফর্ম পার্টির নেতা নাইজেল ফারাজকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র মাস্কের সঙ্গে ফারাজের প্রকাশ্য বিবাদ সত্ত্বেও ফারাজ তাঁর উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন।
জার্মানির রক্ষণশীলরা ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতির মুখপাত্র ইয়ুর্গেন হার্ডটকে পাঠাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বার্লিনের রাষ্ট্রদূত আন্দ্রেয়াস মাইকেলিসও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
স্পেনের কট্টর জাতীয়তাবাদী ভক্স পার্টির নেতা সান্তিয়াগো আবাস্কালকে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ ছাড়া পর্তুগালের ডানপন্থী চেগা পার্টির প্রধান আন্দ্রে ভেন্তুরাসহ ইউরোপের আরও বেশ কয়েকজন কট্টর ডানপন্থী নেতা ট্রাম্পের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছেন।
যাঁরা আমন্ত্রণ পাননি
ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে কারা কারা আমন্ত্রণ পাননি, সে তথ্যও প্রকাশ হতে শুরু করেছে। ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভনডার লেন আমন্ত্রণ পাননি। তাঁর মুখপাত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূত জোভিতা নেলিউপসিয়েন ক্যাপিটলের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।