স্টাফ রিপোর্টার : ফিলিপাইনের নতুন প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র। তিনি শপথ নিয়েছেন। তিনি দেশটির প্রয়াত স্বৈরশাসক ফার্দিনান্দ ইমানুয়েল এড্রলিন মার্কোসের ছেলে। ফার্দিনান্দ জুনিয়র দেশটিতে বংবং নামেই অধিক পরিচিত। বংবংয়ের হাতেই এবার ফিলিপাইন।
বিবিসি, আল জাজিরার খবরগুলো থেকে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দেশটির রাজধানী ম্যানিলার জাতীয় জাদুঘরে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে দেশি-বিদেশি শতাধিক প্রতিনিধি এবং সাংবাদিকের উপস্থিতিতে শপথ নেন বংবং। তিনি বিদায়ী প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তের স্থরাভিষিক্ত হলেন।
ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে রদ্রিগো দুতার্তে শাসন আমলের অবসান ঘটলো। দুর্তাতে মাদক ও মাদক কারবারিদের দমনে কঠোর অবস্থান নিয়ে বিশ্বব্যপী আলোচিত সমালোচিত হয়েছিলেন।
শপথ গ্রহণের পর দেওয়া প্রথম ভাষণে ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র ফিলিপাইনের গণতন্ত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নির্বাচনী ম্যান্ডেট দেওয়ায় দেশবাসীর প্রতি ধন্যবাদ জানান। ৬৪ বছর বয়সী এই নেতা এমন একটি সময়ে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিলেন যখন ফিলিপাইন করোনা মহামারির প্রভাব কাটিয়ে উঠার চেষ্টায় রয়েছে। এছাড়া দেশটির আকাশছোঁয়া মুদ্রাস্ফীতি এবং ক্রমবর্ধমান ঋণে জর্জরিত।
মার্কোস জুনিয়রের শপথ অনুষ্ঠানটিকে এশিয়ার সবেচেয়ে বিখ্যাত রাজনৈতিক পরিবারগুলোর একটির দীর্ঘদিন পর রাজনীতিতে ফেরার উল্লেখযোগ্য ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে। ৩৬ বছর আগে গণরোষের মুখে শাসন ক্ষমতা থেকে তাঁর পরিবারের পতন হয়েছিল। ৬৪ বছর বয়সী মার্কোস জুনিয়র গত মাসে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছিলেন। দেশটিতে এমন নিরঙ্কুশ বিজয় সাধারণত দেখা যায় না। বছরব্যাপী প্রচারণার পর জয়ী হওয়া এই নির্বাচনকে সমালোচকরা তাঁর পরিবারের ভাবমূর্তি ফেরানোর চেষ্টা হিসেবে দেখছেন। অন্যদিকে, দেশটির বিদায়ী প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তের মেয়ে সারা দুতের্তে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন।
ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের বাবা ফার্দিনান্দ ছিলেন ফিলিপাইনের সাবেক স্বৈরশাসক। তার মা ইমেলদা মার্কোস কুখ্যাতি কুড়িয়েছিলেন জুতার বিশাল সংগ্রহের জন্য। দুর্নীতি, অত্যাচারসহ বহু কারণে ১৯৮৬ সালে গণঅভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করেছিলেন বর্তমান প্রেসিডেন্টের বাবা ফার্দিনান্দ মার্কোস। গত মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ের মাধ্যমে নতুনভাবে দেশটির রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছে মার্কোস পরিবার। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ১৫ হাজার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়।