স্টাফ রিপোর্টার \ সৃষ্টির স্কুল ছাত্রাবাসে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী শিহাবের মৃত্যুর বেশ কয়েকদিন পার হয়ে গেলেও তদন্তের অগ্রগতি ও তদন্তকারীদের আচরণ নিয়ে তীব্র অসন্তোষ জানিয়েছে নিহত শিহাবের পরিবার। এ ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় একমাত্র গ্রেপ্তারকৃত আসামি স্কুলের আবাসিক শিক্ষক আবু বক্করকে ৫ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন বিজ্ঞ-আদালত।
শিহাবের বাবা ইলিয়াস হোসেন জানান, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মামলার এজহারভুক্ত বাকি ৫ আসামির কাউকে এখনো গ্রেপ্তার করেনি।
তিনি আরো জানান, স্কুলের মালিকপক্ষ ধনাঢ্য ও প্রভাবশালী হওয়ায় একইসঙ্গে তদন্তকারীদের আচরণে আমি এখন সন্তান হত্যার ঘটনায় ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা করছি। টাকার প্রভাবে মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২০ জুন সখীপুর উপজেলার বেরবাড়ি গ্রামের প্রবাসী ইলিয়াস হোসেনের ছেলে শিহাবকে (১২) টাঙ্গাইল সৃষ্টি একাডেমী স্কুলের আবাসিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ দাবি করে, শিহাব হোস্টেলের সপ্তম তলার একটি বাথরুমে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে শিহাবের মৃত্যু শ্বাসরোধ বা গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
ঘটনার ৬ দিন পর গত ২৬ জুন শিহাবের মা আসমা আক্তার আবু বক্করসহ ওই স্কুলের ৬ আবাসিক শিক্ষককে আসামি করে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ প্রসঙ্গে, টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন জানান, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষকের দেওয়া তথ্যগুলো যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।