মিথুন আশরাফ ॥ যেমনটি আশা ছিল। ঠিক তেমনটিই হয়েছে। প্রথম আশা ছিল সাফ অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলা। সেই আশা পূরণ হয়েছে। নেপালের বিপক্ষে রাউন্ড রবিন লীগের শেষ ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করে অপরাজিত থেকে ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পক্ষে একমাত্র গোলটি করে পিয়াস আহমেদ নোভা। ৪ ম্যাচে ৩ জয় ও ১ ড্র’তে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টুর্নামেন্টের একমাত্র দল হিসেবে অপরাজিত থেকেই ফাইনালে খেলার টিকেট নিশ্চিত করেছে। আগামী ৫ আগস্ট শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
রাউন্ড রবিন লীগে বাংলাদেশ চমক দেখিয়েছে। ভারতের ভুবনেশ্বরের কালিংগা স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে কোন গোল হয়নি। আক্রমন ও পাল্টা আক্রমন চলতে থাকে। একবার বাংলাদেশ তো একবার নেপাল আক্রমন চালায়। কখনো মনে হয়, এই বাংলাদেশ এগিয়ে গেল। কখনো মনে হয়েছে নেপাল গোল দিয়ে ফেলল। কিন্তু প্রথমার্ধে কোন দলই গোল করতে পারেনি।
প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে খেলা শুরু হতেই উত্তেজনা তৈরী হয়। বাংলাদেশ অধিনায়ক তানভির হোসেনের করা এক ফাউলকে কেন্দ্র করে দুই দলের ফুটবলারদের মধ্যে হাতাহাতিও হয়। একটা সময়ে দুই দলের ফুটবলাররা একে অপরকে হাতাহাতি, ঘুষি, লাথি মারতে থাকেন। ৫০ মিনিটের সময় তানভিরকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। শহিদুল ইসলাম কথা বলতে গেলে প্রথমে হলুদ কার্ড, সাথে সাথে লাল কার্ড দেখান রেফারি। টুর্নামেন্টে প্রথম কোন ফুটবলার লাল কার্ড পান। বাংলাদেশের শহিদুলকে যেমন লাল কার্ড দেখান রেফারি, ঠিক তেমনি নেপালের ডিপেস কুরামকেও লাল কার্ড দেখানো হয়। দুই দলের দুই ফুটবলারকে মাঠ ছাড়তে হয়।
নেপালের সেরা স্ট্রাইকার মাঠ থেকে বের হতেই বাংলাদেশ চেপে ধরে। ৬৩ মিনিটে গিয়ে গোলও পেয়ে যায় বাংলাদেশ। পিয়াস আহমেদ নোভা গোল করে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন (১-০)। তবে খুব বেশি সময় সেই সুখ থাকেনি। ৫ মিনিট পর ৬৮ মিনিটে গিয়ে নেপালের নিরঞ্জন অসাধারণ এক গোলে দলকে সমতায় ফেরান (১-১)। তবে ম্যাচের শেষদিকে বাংলাদেশ পরপর দুইবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায়। গোলকিপারকে একা পেয়েও নোভা গোল করতে পারেননি।
টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মিরাজুল ইসলামের একমাত্র গোলে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছে বাংলাদেশ। এরপর পিয়াস আহমেদ নোভার জোড়া গোলে ভারতকে ২-১ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় পায়। তৃতীয় ম্যাচে মালদ্বীপকে পাত্তাই দেয়নি বাংলাদেশ। মিরাজুল ইসলামের হ্যাটট্রিকের সাথে রফিকুল ইসলামের এক গোলে মালদ্বীপকে ৪-১ গোলে হারায়। টানা তিন ম্যাচ জিতে ফাইনালে ওঠার পথে এক পাঁ দিয়েই রাখে। চতুর্থ ও শেষ ম্যাচে নেপালকে হারাতে পারলে ৪ ম্যাচের ৪টিতে জিতে ১২ পয়েন্ট নিয়ে ফাইনালে খেলত বাংলাদেশ। তা হয়নি। তবে হারেওনি বাংলাদেশ। ড্র করেছে। অপরাজিত থেকেই ফাইনালে খেলবে বাংলাদেশ।