Search
Close this search box.
রাষ্ট্রদূতদের সাথে ডিএনসিসির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

সিস্টার সিটি গড়ে তুলে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের আহবান ডিএনসিসি মেয়রের

স্টাফ রিপোর্টার- ‘শহরগুলোর সাথে ‘সিস্টার সিটি’ গড়ে তোলার মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা সম্ভব বলে উল্লেখ করেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন এর ফলে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে। ফুটপাত ব্যবস্থাপনা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসহ অন্যান্য উত্তম কার্যক্রমের মডেল ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা যাবে।’

বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের উদ্দেশ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল শেরাটনে ডিএনসিসির বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ করণীয় বিষয়ক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতগণ, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য নাহিদ ইজাহার খান ও অপরাজিতা হক এবং আন্তর্জাতিক সহযোগী সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সকলে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন।

ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম সভাপতির বক্তৃতায় বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী দেশেকে নিয়ে শত বছরের পরিকল্পনা প্রনয়ন করেছেন। তাঁর নির্দেশনায় আমরা ডেল্টা প্ল্যান, ভিশন ২০৪১, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) সহ অন্যান্য পরিকল্পনার সাথে সমন্বয় করে উন্নয়ন কার্যক্রম করে যাচ্ছি। ঢাকা শহরের পরিবেশ রক্ষায় আমরা দখলকৃত খাল উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। বর্জ্য অপসারণ করে খালে পানির প্রবাহ নিশ্চিত করেছি। সবুজায়নের লক্ষ্যে ডিএনসিসি আওতাধীন এলাকায় বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে চব্বিশটি পার্ক ও খেলার মাঠের উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। স্মার্ট এলইডি বাতি লাগানো হয়েছে।’

মেয়র আরও বলেন, ‘বর্তমান বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। ঢাকাকে স্মার্ট সিটি গড়ে তুলতে ডিএনসিসি ডিজিটাল সেবা প্রদানে গুরুত্বারোপ করছে। জনগণের ভোগান্তি কমাতে ডিএনসিসি অনলাইনে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করছে। ট্যাক্স পরিশোধ করতে আর সিটি কর্পোরেশনে আসতে হয় না। এছাড়া যেকোনো ব্যক্তি ঘরে বসেই সবার ঢাকা অ্যাপের মাধ্যমে সেবা পাচ্ছে।’

বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংগঠনের প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, ‘ঢাকা শহরে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আমরা চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে একটি আধুনিক ও বাসযোগ্য ঢাকা গড়ে তুলতে কাজ করছি। অত্যন্ত আনন্দের বিষয় ডিএনসিসি এলাকাতেই বেশিরভাগ দূতাবাস। বাংলাদেশে নিযুক্ত অনেক দেশের রাষ্ট্রদূতগণ এখানে থাকেন। এছাড়াও ডিএনসিসি এলাকায় আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংগঠনের প্রতিনিধিরাও আছেন। এই শহরের উন্নয়নে আপনাদের সহযোগিতা ও পরামর্শ চাই। আপনাদের শহরগুলোর সফল ও উত্তম কার্যক্রমগুলো ঢাকায় প্রয়োগ করতে চাই।’

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম প্রধান অতিথির  বক্তৃতায় বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহতভাবে চলছে। কেন্দ্রীয় সরকারের দক্ষ নেতৃত্বে ও পরিচালনায় সবগুলো সিটি কর্পোরেশন সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় আমাদের দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক কম। বিগত সময়ের তুলনায়ও মশা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের কার্যকর পদক্ষেপের ফলেই এটি সম্ভব হয়েছে।’

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বক্তব্যে বলেন, ‘ডিএনসিসি অনেকগুলো পার্ক ও খেলার মাঠের উন্নয়ন করে ছেলে-মেয়েদের খেলাধূলা ও মানসিক বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। কয়েকটি স্থানে বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম করেছে যা সত্যি প্রশংসনীয়। আশা করছি দুই মেয়রের নেতৃত্বে ঢাকা একটি দূষণমুক্ত পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে গড়ে উঠবে।’

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘সিটি কর্পোরেশন আইনে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষকে অনেকগুলো বিষয়ে ক্ষমতায়ন করা হয়েছে। মেয়র ও কাউন্সিলরদের সমন্বয়ে গঠিত সিটি কর্পোরেশন আইন অনুযায়ী ক্ষমতাগুলো সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারলে নগরবাসী কাঙ্ক্ষিত সেবা পাবে এবং একটি সুস্থ্য সুন্দর শহর নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’

অনুষ্ঠানে শুরুতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা।  অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও স্থানীয় কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংগঠনের প্রতিনিধিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভ্যাটিকান দূতাবাসের মারিঙ্কো আন্তোলোভিক চার্জড’ অ্যাফেয়ার্স, ব্রিটিশ হাই কমিশনার এইচ.ই. ​​মিঃ রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, রয়্যাল ডেনিশ রাষ্ট্রদূত মিসেস উইনি ইস্ট্রুপ পিটারসেন ,সিঙ্গাপুর প্রজাতন্ত্রের কনস্যুলেট মিঃ শিলা পেল্লাই ,মালয়েশিয়ার হাই কমিশনার এইচ ই মিস হাজনা বিনতি মোঃ হাশিম ,তুর্কি প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত জনাব মোস্তফা ওসমান তুরান ,শ্রীলঙ্কার ডেপুটি হাইকমিশনার মিসেস রুওয়ান্থি ডেলপিটিয়া ,শ্রীলঙ্কার হাই কমিশনের প্রথম সচিব মিসেস শ্রীমালী জয়রথনা, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত মিঃ এসপেন রিক্টর-সভেনডসেন, ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েনসিল, কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত মিঃ লি জাং-কেউন,  মিশনের ডেপুটি চিফ মিসেসে হেলেন লাফাভি ,মার্কিন দূতাবাসের ব্যবস্থাপনা পরামর্শদাতা মিস্টার গ্যারি অ্যান্ডারসন ,মালদ্বীপ হাই কমিশনার মিসেস শিরুজিমঠ সমীর।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ