স্টাফ রির্পোটার- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্যের সাথে দেখা করতে এসে ছাত্রলীগের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। সংঘর্ষে ছাত্রদলের অন্তত ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটের দিকে ছাত্রদলের ২০-২৫ জন নেতাকর্মী নীলক্ষেতের মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের প্রবেশদ্বার দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার চেষ্টা করেন। এসময় একইস্থানে অবস্থান করছিলেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
সংঘর্ষে ছাত্রদলের অন্তত ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন এবং আহতদের রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও ইসলামিক হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল।
তিনি বলেন, আমাদের অন্তত ১০-১৫ জন আহত হয়েছে, ৪-৫ জন গুরুতর আহত। গুরুতর আহতদের মধ্যে আছেন ঢাবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম।
ছাত্রদলের আহতদের মধ্যে রাজু, শাওন, আরিফ, আমিনুল, সোহাগ, সোহেল ও জুবায়েরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সংঘর্ষের পর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের স্লোগান দিতে দেখা যায়। ছাত্রদলের চামড়া তুলে নেব আমরা, জামায়াত-শিবির রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়, ছাত্রদলের আস্তানা, এই ঢাবিতে হবে না; হই হই রই রই, ছাত্রদল গেলি কই, ইত্যাদি স্লোগান দিতে শোনা যায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের।
এদিকে ছাত্রলীগের দাপটে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতিতে বহুদিন ধরেই নিষ্ক্রিয় ছাত্রদল। এর মধ্যে গত অক্টোবরে ১৮ মাস পর রাজনীতির আঁতুরঘর খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে পা রাখে ছাত্রদল। মধুর ক্যান্টিন থেকে বের হয়ে সেদিন ক্যাম্পাসে মিছিলও করে ছাত্রদল। তবে সেদিনও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সরব অবস্থান ছিল ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের ফেরা ঘিরে।
এরই মধ্যে গত ১১ সেপ্টেম্বর খোরশেদ আলমকে সভাপতি ও আরিফুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।
ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারেন এমন খবরে গতকালও ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়েছিলেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তবে গতকাল শেষ পর্যন্ত ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে যাননি।
এরপর মঙ্গলবার তাদের আসার খবরে ঢাবি ক্যাম্পাসের মোড়ে মোড়ে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।