Search
Close this search box.

নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হলেও চুরিই তার প্রধান পেশা

স্টাফ রির্পোটার- রাজধানীতে বাসা-বাড়ি ও দোকানে গ্রীল কাটা/তালা কাটা চোর চক্রের এক  সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির মিরপুর বিভাগের কাফরুল থানা পুলিশ। এসময় চুরির কাজে ব্যাবহৃত একাটি  প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়েছে।

রাজধানীর ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশনস) এ কে এম হাফিজ আক্তার।

তিনি বলেন, ডিএমপির কাফরুল থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে  মিরপুর এলাকার সেনপাড়া পর্বতা  ঈদগাহ মাঠ এলাকা থেকে চোর চক্রের মূলহোতা মোঃ আজিজুল হক ফকির (৪৭)   গ্রেফতার করা হয়েছে। সে মাদারীপুর জেলার একটি ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার।

তাকে গ্রেফতারের সময় তার হেফাজত থেকে  ১টি তালা কাটার ১টি  শাবল সাদৃশ্য (খোন্তা), ১টি বোল্ড কাটার, ২টি মেট্রো-গ-১৩-৮৫৮৯ লেখা গাড়ীর নাম্বার প্লেট, ১টি তালা, ১টি বড় স্কু ড্রাইভার, ১২টি শাড়ি, ১টি প্লাস, ১টি সাদা রংয়ের প্রাইভেটকার,, ১টি মোবাইলফোন, ১টি প্রেসার মাপার যন্ত্র রাখার ব্যাগ, নগদ ২,৪০৯/- টাকা,  ১টি হ্যান্ড ব্যাগ এবং ৪৩৯ টাকার কয়েন উদ্ধার করা হয়। 

হাফিজ আক্তার জানান, অপরাধীদের একটি ডাটাবেজ তৈরি হয়েছে। সেটাকে নিয়মিত আপডেট রাখা হয়। কেউ একবার অপরাধ করলে তার ডিটেইলস ডাটাবেইজ এ রয়ে যায়, যার মাধ্যমে আমাদের মনিটরিং এ সুবিধা হয়। সম্প্রতি আমরা দেখতে পাই রাজধানীতে ছোট ছোট চুরির সাথে বড় চুরির সংখ্যাও বেড়ে গেছে । ডিএমপির  প্রতিটি বিভাগ এ বিষয়ে তৎপর আছে। আমরা চোর চক্র গ্রেফতারে বড় ড্রাইভ দিচ্ছি।

অতিরিক্ত কমিশনার বলেন,আজিজুল হক ফকিরকে গ্রেফতারের পর জানা যায় সে মাদারীপুর শিরখাড়া ইউনিয়ানের ০৯নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি মেম্বার। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে  তার সহযোগী অন্যান্য আসামীদের তথ্য ও নাম ঠিকানা প্রকাশ করেছে।

সে অন্যান্য আসামীদের সহায়তায় ঢাকা শহরের বিভিন্ন থানা এলাকার বাসা বাড়ীতে রাতের বেলায় গ্রীল কেটে এ পর্যন্ত  ৫০০ টি চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে।  গত ২৭ সেপ্টেম্বর কাফরুল সেনপাড়া ও পল্লবী বেনারশি পল্লীতে শাড়ীর দোকান চুরি করে। ওই এক রাতেই সে চারটি চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়াও সে মাদারীপুর জেলায় ১টি চুরির মামলার অভিযুক্ত আসামী।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিক দের এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ আক্তার বলেন, জনৈতিক দলের মিছিল-মিটিংসহ কোনো সমাবেশে নিরাপত্তার স্বার্থে পতাকা বেঁধে লাঠিসোটা বা দেশীয় অস্ত্র আনা যাবে না ।ডিএমপির পক্ষ থেকে সব ডিসিকে বলা হয়েছে, কোনো সভা-সমাবেশে লাঠিসোটা ও পতাকা যেন আনা না হয়। কারণ কোথাও পড়ে গেলে জাতীয় পতাকার অবমাননা হয়। অন্যদিকে এগুলো থাকলে বড় ধরনের সংঘর্ষ বাধার সুযোগ থাকে।

বিএনপির পক্ষ থেকে বারবার অভিযোগ করা হচ্ছে, সভা-সমাবেশের জন্য অনুমতি চাইলেও ডিএমপি অনুমতি দেয় না। সংঘর্ষ হলে পুলিশ আওয়ামী লীগের পক্ষ নিয়ে পেটায়-এমন প্রশ্নের জবাবে এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, এ ধরনের অভিযোগ আমরা পাইনি। আমরা রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক গ্রোগ্রামের অনুমতি দিচ্ছি। আমরা যদি মনে করি, ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে তাহলে লোকাল ডিসিরা মতামত দেয়। দেখা গেল, কোনো এক জায়গায় একাধিক সংস্থা বা দল সমাবেশ ও সভার অনুমতির আবেদন করল। তখন আমরা নাগরিক সুরক্ষার জন্য এর অনুমতি বা অনুমোদন দেই না।

তিনি বলেন, প্রায় সব প্রোগ্রামেই পুলিশের নীরবতা থাকে। তবে, দুই একটি ঘটনা ঘটেছে। প্রোগ্রাম কিন্তু প্রতিনিয়তই হচ্ছে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্রিক সংঘাতের আশঙ্কা থাকছে কী না জানতে চাইলে এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, পুলিশের কাজই হচ্ছে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা। আমরা চাই না, ঢাকা শহরের কোথাও সংঘাত-সংঘর্ষ হোক। সেটা নিয়েই পুলিশ কাজ করে থাকে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে হাফিজ আক্তার বলেন, আমরা দেখেছি, বেশ কয়েকটা জায়গাতেই লাঠিসোটা কেন্দ্রিক সমস্যা হচ্ছে। তাই লাঠিসোটা নেওয়া যাবে না। কারণ, কে কোন উদ্দেশ্য নিয়ে আসছে, তা তো বলা যায় না।

তিনি জানান, এসব প্রোগ্রামে পুলিশ ফোর্সও থাকে। এ ছাড়া রাজনৈতিক কর্মসূচি বাদে অনেক সাধারণ মানুষও থাকেন, তাঁরা দিনরাত নানা কাজ করেন। তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়টি তো থাকেই। তাদের কাজ যেন কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত না হয়।’

রাজনৈতিক কর্মসূচিতে লাঠি আনার কোনো প্রয়োজন নেই’ উল্লেখ করে হাফিজ আক্তার বলেন, ‘তারা সমাবেশ করবে, চলে যাবে। নিরাপত্তার স্বার্থে লাঠিসোটা নেওয়া যাবে না। এটা পুলিশের জন্য হুমকি স্বরূপ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ