Search
Close this search box.
নগরবাসী’কে অ্যাওয়ার্ড উৎসর্গ করলেন মেয়র

মাঠ ও পার্ক উন্নয়নের মাধ্যমে সবুজ বলয় তৈরি করেছি – মেয়র আতিক

স্টাফ রিপোর্টার-   ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আমরা শহরে মাঠ ও পার্ক উন্নয়নের মাধ্যমে সবুজ বলয় তৈরি করেছি। আমরা এগুলো তৈরি করার সময় শিশু,  কিশোর,  যুবক,  বৃদ্ধ,  শারীরিক প্রতিবন্ধী ও নারীদের চাহিদা জানতে চেয়েছি এবং এ উপকরণগুলো মাঠ ও পার্কে ব্যবস্থা করেছি। আমরা এ পার্কগুলো উদ্বোধন করার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমার কাছে আমন্ত্রণ আসতে শুরু করেছে। তারা জানতে চাচ্ছে তোমরা কীভাবে বিশ্বের এরকম একটি ব্যস্ততম শহরের মধ্যে এতগুলো পার্ক করলে যেখানে জমির দাম অনেক বেশি।

তিনি বলেন, সি ফরটি সম্মেলনে ব্লুমবার্গ ফ্রিল্যানথ্রপি থেকে আমরা যে পুরস্কার পেয়েছি তা হচ্ছে জলবায়ুর স্থিতিস্থাপকতা তৈরিতে ভূমিকা রাখার জন্য। মোট পাঁচটি ক্যাটাগরিতে এ পুরষ্কার দেওয়া হয়েছে। আমরা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন পুরস্কার পেয়েছি ইউনাইটেড ইন বিল্ডিং ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স ক্যাটাগরিতে।

মেয়র আতিকুল বলেন, তিনি জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশে কি নোট স্পিকার হিসেবে আমন্ত্রণ পাচ্ছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন।

শনিবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে সংবাদ সম্মেলনে মেয়র এ কথা বলেন। আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্সে সি ফরটি সম্মেলন থেকে ফিরে এসে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন মেয়র।

মেয়র আতিকুল ইসলাম জানান, আরও যেসব ক্যাটাগরিতে সি ফরটি  সম্মেলনে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে-জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায়  উদ্ভাবন,  বায়ু পরিষ্কারকরণ ও জলবায়ু আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ। এ সম্মেলনে মোট ১১ শহরকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন কাজের জন্য। মেয়র জানান, ব্লুমবার্গ ফ্রিল্যানথ্রপি বিশ্বের ১৭৩টি দেশের ৯৪১টি শহরকে নিয়ে কাজ করে।

এদিকে রাজধানীর মিরপুরে প্যারিস রোডের প্লট বরাদ্দ নিয়ে মেয়র আতিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, টেবিলের নিচ দিয়ে অনিয়ম করে দেওয়া হয় প্লট বরাদ্দ।

তিনি বলেন, মিরপুর প্যারিস রোড সংলগ্ন মাঠটি প্লট আকারে কীভাবে বরাদ্দ দেওয়া হলো? ষাটের দশকের মাস্টারপ্ল্যানে ও ১৯৮৭ সালের ন্যাশনাল হাউজিং অথরিটির লেআউটেও এটি উন্মুক্ত স্থান হিসেবে দেখানো আছে। ড্যাপের নকশায়ও এটি উন্মুক্ত স্থান হিসেবে রয়েছে। এখানে কিছুতেই প্লট হতে পারে না। যারা প্লট পেয়েছে তাদের দোষ নেই। দোষ হচ্ছে যারা প্লট বরাদ্দ দিয়েছেন। টেবিলের নিচ দিয়ে অনিয়ম করে এগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মাঠের জায়গায় কিছুতেই প্লট ও ভবন হতে পারে না।

মেয়র বলেন, ডিএনসিসিতে নতুনভাবে সংযুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডে মাস্টারপ্ল্যান করে উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে। এসব এলাকায় সব ধরনের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। এসব এলাকায় করা হবে সিভিক সেন্টার। গড়ে তোলা হবে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। অডিটোরিয়াম থাকবে। খেলার মাঠ ও পার্ক হবে। থাকবে বিনোদনকেন্দ্র।

তিনি বলেন, শুধু ভবন নয়, মনের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। ছেলেমেয়েদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য খেলার মাঠ, সাংস্কৃতিককেন্দ্র দরকার। আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছি মাঠ, পার্ক ও সাংস্কৃতিককেন্দ্র করার। সুন্দর নগরায়ন কর‌তে গে‌লে সবাই‌কে একস‌ঙ্গে কাজ কর‌তে হ‌বে বলে জানান মেয়র আতিকুল ইসলাম।

এসময় মেয়র পরিষ্কার জানিয়ে দেন, কোনোভাবেই খাল দখল করা যাবে না। দখল ও দূষণ বন্ধ করতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ