স্টাফ রিপোর্টার- রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বাংলাদেশের একার কাজ নয়। বিশ্ব মোড়লদেরও কিছু দায়িত্ব রয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
রবিবার সকালে সিলেটে আল খায়ের ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সুবিধা বঞ্চিতদের হুইল চেয়ার ও সেলাই মেশিন বিতরণে শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে মিয়ানমার ও বিশ্ব মোড়লদের আন্তরিকতার ঘাটতি রয়েছে। এ কারণেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হচ্ছে। বিভিন্ন দেশকে বলেছি কিছু লোক নিয়ে যান। সে কাজ স্বল্প পরিসরে শুরু হয়েছে। তবে আমরা আশাবাদী, রোহিঙ্গারা তাদের নিজের দেশে ফেরত যাবে।
এর আগে অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, দেশ থেকে দারিদ্রতার অভিশাপ দূর করতে প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগে নিয়েছেন। দেশে কেউ দরিদ্র থাকবে না। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে অতি দারিদ্র সীমার হার ৩ শতাংশের নিচে নিয়ে আসার কাজ চলছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা পৃথিবীকে শান্তির একটি ধারণা দিতে চাই। মানুষের কল্যাণে কাজ করলে সৃষ্টিকর্তা আমাদের প্রতিদান দেবেন। হিংসা-বিদ্বেষ, খুন-গুমের বিপরীতে মানুষের কল্যাণে মানুষ কাজ করবে। মসজিদ, হাসপাতালসহ কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা মহৎ উদ্যোগ। আমাদের সরকার সেজন্য প্রতিটি স্থানে একটি আদর্শ মসজিদ নির্মাণ করে দিচ্ছে। যেখানে সব আধুনিক সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান থাকবে। মসজিদ নির্মাণের সঙ্গে যারা জড়িত সবাই সদকায়ে জারিয়া পাবেন।
তিনি বলেন, এখন কিন্তু আমরা কলোনিয়াল দেশ না, আমরা কলোনি না। সুতরাং তাদের সেটা মনে রাখতে হবে। তারা তাদের রীতি অনুযায়ী, নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠিত যে রীতি, সেটা মেনে চলবেন। অন্যান্য দেশে নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে কেউ জানতে চায় না।
যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যাপক ও কূটনীতিক হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় তার দুই ধরনের অভিজ্ঞতা হয়েছে উল্লেখ করে আব্দুল মোমেন বলেন, অধ্যাপক থাকার সময় অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অনেক সাংবাদিক মতামত নিতে এলেও জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হওয়ার পর কেউই অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আসত না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুঃখের বিষয় যে, আমাদের বিভিন্ন লোকজন আভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে বিদেশি সরকারের মতামত চান। যদিও উনারা আমাদের অতিথি, তাদের অনেকের বাংলাদেশিদের থেকে অভিজ্ঞতার গ্যাপ আছে।
তিনি বলেন, কেউ কেউ বোধহয় ওদের কাছে যান, আমি মনে করি এটা খুবই দুঃখজনক। এই কালচারটা পরিবর্তন করা উচিত। আপনারা জোর করে তাদের জিজ্ঞাসা করেন, তখন তাদের কিছু বলতে হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আল খায়ের ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ম্যানেজার তারেক মাহমুদ সজীবসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।