স্টাফ রিপোর্টার- সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাকে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা হাসপাতাল এবং ২৩টি বিশেষায়িত হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। বলেন, এসব হাসপাতালে অগ্রীম অর্থ বরাদ্দ দেওয়া আছে।
মঙ্গলবার ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সকল সেবা ডিজিটাল পদ্ধতিতে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ মন্ত্রণালয়ের সেবা সংক্রান্ত সকল তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে রয়েছে। পৃথিবীর যে কোনো প্রান্ত থেকে এ মন্ত্রণালয়ের সেবার জন্য আবেদন করা যাবে।
মন্ত্রী বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধার সম্মানি ভাতা গভর্নমেন্ট টু পার্সন (জি টু পি) পদ্ধতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে মোবাইল ম্যাসেজের মাধ্যমে সরাসরি একাউন্টে দেওয়া হচ্ছে। এ পদ্ধতিতে সকল আনুসাঙ্গিক চার্জ সরকার বহন করে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০ হাজার বাড়ি নির্মাণ করে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত সকল স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণ এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ ও চেতনা নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে মন্ত্রণালয়। আলোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অংশীজন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বক্তব্য ও সমস্যা শোনা হয় এবং সমাধানের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এসময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া, অতিরিক্ত সচিব রঞ্জিত কুমার দাস, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক মো. জহুরুল ইসলাম রোহেল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহবুবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।