Search
Close this search box.

রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘিরে সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

রাকিব হাসান- জাতীয় নির্বাচনের বাকি প্রায় বার মাস। ইতিমধ্যে সরকারি ও বিরোধী দলগুলোর বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘিরে ব্যস্ততা বেড়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। নির্বাচন সামনে রেখে যেকোনও ধরনের অপতৎপরতা বন্ধে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বিভিন্ন মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের গ্রেফতারে তোরজোর চলছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেশ কয়েকজন উর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। তারা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাজনৈতিক সহিংসতার বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২২ সালে স্থানীয় নির্বাচনসহ রাজনৈতিক কারণে দেশের ৬৪টি জেলার প্রায় সব কটিতেই সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। গত এক বছরে বিভিন্ন পর্যায়ের স্থানীয় নির্বাচনসহ রাজনৈতিক সংঘাত ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ৪৭৯টি। এতে নিহত হয়েছেন ৭০ জন এবং আহত হয়েছেন প্রায় ৬ হাজার ৯১৪ জন।

এক সমীক্ষায় দেখা গেছে রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে ঢাকা জেলায়। ঢাকায় ২৯টি ঘটনায় প্রায় ৪৫৯ জন আহত হয়েছেন এবং নিহত হয়েছেন ৩ জন। এ ছাড়া কুমিল্লা জেলায় ২৮টি ঘটনায় প্রায় ২৬৯ জন আহত হয়েছেন এবং নিহত হয়েছেন ২ জন। চট্টগ্রামে ২৫টি ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় ৩৩২ জন এবং নিহত হয়েছেন ৭ জন। রাজনৈতিক সহিংসতায় বগুড়া জেলায় ১০টি ঘটনায় ৭ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন প্রায় ৭৬ জন।

গত নভেম্বর ‌ও ডিসেম্বর মাসে সরকারী দল আওয়ামী লীগ রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশ করেছে। পাশাপাশি বিএনপিও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সভা-সমাবেশ এবং মিটিং-মিছিল করেছে। এ ছাড়া অন্য দলগুলো ছোটখাটো সভা-সমাবেশ করে যাচ্ছে। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, একদিকে যেমন রাজনৈতিক দলগুলোর তৎপরতা বাড়বে, সেই সঙ্গে পক্ষ-বিপক্ষ দলের জমায়েত বাড়বে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশব্যাপী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন অপরাধী যাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে এবং ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় গোয়েন্দা নজরদারিতে আসা বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিকল্পনা করা হচ্ছে। প্রয়োজন অনুযায়ী এবং প্রেক্ষাপট অনুযায়ী তাৎক্ষণিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিকল্পনা করা হবে।

পুলিশ সদর দফতরের এআইজি মনজুর রহমান বলেন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে গ্রেফতারের কাজ করে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে কোনও রাজনৈতিক বিষয় বিবেচনা করা হয় না। যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা আছে , তাদের গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ