Search
Close this search box.

ভারত থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি পেতে আগ্রহী বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার-  ভারত থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি পেতে চাই, ইতিবাচক আলোচনার প্রেক্ষিতে সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

দিল্লীতে ভারতের পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস এবং আবাসন ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী হারদীপ পুরি’র সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি এ সময় ডিজেল আমদানি, ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন, ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্ডিয়া লিমিটেড, জ্বালানি সহযোগিতা বৃদ্ধি, অভিজ্ঞতা বিনিময়, প্রশিক্ষণ ও মানবসম্পদ উন্নয়ন, এলএনজি আমদানি, অফশোর গ্যাস অনুসন্ধান ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের সার্বিক অবস্থা নিয়ে আলোকপাত করেন।

ভারতের পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস এবং আবাসন ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী আগামী ফেব্রুয়ারিতে ভারতের জ্বালানি সপ্তাহে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, জ্বালানি সহযোগিতার ক্ষেত্র বাড়াতে ভারত, বাংলাদেশের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করবে। বাংলাদেশ জ্বালানি বাজার উন্মুক্ত করতে চাইলে ভারত প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে। এ সময় তিনি বলেন, পেট্রোলিয়াম ইনস্টিটিউটের আধুনিকায়ন ও মানবসম্পদ উন্নয়নে একসাথে কাজ করা যেতে পারে।

আলোচনাকালে অন্যান্যের মাঝে বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান, পিডিবির চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান ও ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

নসরুল বলেন, ভারত থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সঞ্চালানের জন্য একটি বিশেষ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করা সম্ভব হবে।

নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের লক্ষ্যে বিদ্যুতের বহুমুখী জোগান নিশ্চিত করতে ২০১৩ সালেই ভারত থেকে আমদানি শুরু করে সরকার। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর থেকে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা হয়ে দৈনিক ১০০০ মেগাওয়াট এবং ত্রিপুরা রাজ্যের সূর্যমনি থেকে কুমিল্লা হয়ে ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসছে।

ভারতের বাংলাদেশ লাগোয়া রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের পাশেই ঝাড়খণ্ড রাজ্য। সেখান থেকে বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও বগুড়ার সঞ্চালন লাইন হয়ে আসবে আদানির বিদ্যুৎ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “প্রথম ইউনিট থেকে ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ মার্চের মাঝামাঝি পাওয়া যেতে পারে। আগামী গ্রীষ্মের চাহিদা পূরণে আরও বিদ্যুৎ প্রয়োজন। জ্বালানির বিকল্প উৎসও আমরা খুঁজছি। সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছি।

আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান।

২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর বিদ্যুৎ বিভাগ ও আদানি পাওয়ারের মধ্যে একটি ক্রয় চুক্তি হয়। চুক্তির আওতায় আদানি ঝাডখণ্ডে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে। সেই বিদ্যুৎ দেশে এনে জাতীয় গ্রিডে যোগ করতে বিশেষ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ অংশে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও বগুড়ায় দুটি সাবস্টেশন ও অন্যান্য সঞ্চালন স্থাপনা নির্মাণ করছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ-পিজিসিবি।

এখন শীত চলতে থাকায় বাংলাদেশে বিদ্যুতের চাহিদা কিছুটা কমে এসেছে। চলতি জানুয়ারি মাসের তথ্য অনুযায়ী, এখন দিনে ৮ হাজার মেগাওয়াট থেকে ৯ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হচ্ছে। তবে গ্রীষ্ম মাসে এই চিত্রটি ভিন্ন থাকে। গত মার্চে দিনে বিদ্যুতের চাহিদা ১২৫০০ মেগাওয়াট থেকে ১৩ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটের মধ্যে ছিল।

চাহিদা পূরণের বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা দেশে থাকলেও ইউক্রেইন যুদ্ধের কারণে বিশ্বে জ্বালানির উচ্চ মূল্যের কারণে উৎপাদন কমিয়ে দেওয়া হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ