স্টাফ রিপোর্টার- বিএনপি চেয়াপারসন খালেদা জিয়া রাজনীতি করবেন না- এমন মুচলেকার কথা নির্বাহী আদেশে মুক্তির আবেদনে ছিল না বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। এর আগে মন্ত্রী অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বা সমপর্যায়ের বিচারকদের এক কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন।
আইনজীবী ও তাদের সহকারীরা হলেন স্বামী-স্ত্রীর মতো মন্তব্য করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, দীর্ঘদিনের আন্দোলনের পর আইনজীবী সহকারীদের জন্য অ্যাডভোকেট-র্ক্লাক আইন প্রণয়ন হচ্ছে। এ বিষয়ে একটি সর্বজনীন আইনের খসড়া তৈরি করে আগামী ২৮ দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদে তোলা হবে।
অন্যদিকে, অ্যাডভোকেট-ক্লার্ক আইন পাসে জাতীয় সংসদে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
এসময় ভাষার মাসে বঙ্গবন্ধুসহ সব স্বাধীন দেশের নেপথ্যের নায়কদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সরকারের কারণে আইনজীবী সহকারীদের জন্য আইন প্রণয়ন করা যায়নি। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস অ্যাক্ট, ন্যাশনাল লিগ্যাল এইড অর্গানাইজেশন অ্যাক্টসহ নানা জনবান্ধব আইন প্রণয়ন করছেন।
অ্যাডভোকেট ক্লার্ক অ্যাক্ট আইনটি প্রণয়নে কিছু অসুবিধার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইনজীবী ও তাদের সহকারীরা হলেন স্বামী-স্ত্রীর মতো। তাদের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব হোক এটা আমি চাই না। আমি চেয়েছিলাম সময় নিয়ে একটি সর্বজনীন আইন করতে হবে। এছাড়া আপনাদের দাবি আইনজীবী সহকারী আইন কিন্তু বার কাউন্সিউল আইনে আছে অ্যাডভোকেট-ক্লার্ক। ফলে আইনটি প্রণয়নে অসুবিধা হয়েছিল। এখন অ্যাডভোকেট-ক্লার্ক আইন নামে সবাই রাজি হয়েছেন। তাই কোনো বাধা নেই। আগামী ২৮ দিনের মধ্যে আইনটি চূড়ান্ত করে সংসদে পাঠানো হবে।