স্টাফ রিপোর্টার- ক্রমবর্ধমান জীবনযাত্রার ব্যয় ও ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পরিস্তিতিতে স্বস্তি দিতে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ব্যক্তির করমুক্ত আয়সীমা ৫ লাখ করার প্রস্তাব দিয়েছে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ)।
রবিবার আগারগাঁওয়ে নবনির্মিত জাতীয় রাজস্ব ভবনে (এনবিআর) প্রাক বাজেট আলোচনায় এ প্রস্তাব দিয়েছে অর্থনীতি নিয়ে কাজ করা রিপোর্টারদের এই সংগঠনটি।
ইআরএফের প্রস্তাবণা অনুযায়ী, একজন ব্যক্তির মাসিক আয় ৪১ হাজার ৬৬৬ টাকা বা তার বেশি হলে তাকে করের আওতায় আনা হবে। অন্যদিকে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট অনুযায়ী ব্যক্তির করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ টাকা নির্ধারিত আছে। সে হিসেবে চলতি অর্থবছরে একজন ব্যক্তির মাসিক আয় ২৫ হাজার টাকার বেশি হলেই তিনি করের আওতায় ছিলেন।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পূরণ করতে আগামী বাজেটে কর-জিডিপির অনুপাত ০.৫% বাড়াতে হবে, পরের দুই বছরেও ০.৫% ও ০.৭% হারে বাড়াতে হবে। এই বাড়তি রাজস্ব আহরণে করের হার না বাড়িয়ে আওতা বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দিয়ে কর, শুল্ক ও ভ্যাট ফাঁকি রোধ করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ইআরএফ।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে ইআরএফের সভাপতি মো. রেফায়েত উল্লাহ মীরধা, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন। আলোচনায় এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, বাজেটটা আমার জন্য করা হয়, এটা বোঝার মতো জ্ঞান সাধারন মানুষের নেই। বাজেটের মূল উদ্দেশ্যই থাকে নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেনীকে মধ্যবিত্তে উন্নীত করা। মধ্যবিত্ত শ্রেনীকে উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেনীতে নিয়ে যাওয়া। মানুষের অবস্থার উন্নতি ও মাথাপিছু আয় বাড়ানো।