স্টাফ রিপোর্টার- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক দেখতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আওয়ামী লীগও চায় একটি ত্রুটিমুক্ত ও সুষ্ঠু নির্বাচন। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর গুলশানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এম্বাসেডরদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ কারও নির্দেশনা শোনে না। সংবিধান অনুযায়ী চলে।
বিএনপি নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে কূটকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২০১৩-১৪ সালের মতো আবারও আগুন সন্ত্রাসের ওপর ভর করে সরকার উৎখাত ও দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা করছে দলটি। বিএনপি সংলাপে বিশ্বাস করে না। রাষ্ট্রপতি ও নির্বাচন কমিশনের সংলাপে তারা যায়নি। বিএনপি দূতাবাসে চুপিচুপি আসে, কাউকে জানায় না। আওয়ামী লীগ আমন্ত্রণ পেয়ে এসেছে। সবাইকে জানিয়েই এসেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের এম্বাসেডরদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন এবং দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে অর্থপূর্ণ আলোচনা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তত্ত্বাবধায়ক ভুয়া, পদযাত্রা, পতনযাত্রা এটাও ভুয়া। লোক কমে যাচ্ছে। মিছিলে প্রস্থে লোক বাড়ে, লম্বায় কমে গেছে। তার মানে সব নেতা। সামনে নেতা পেছনের কর্মীরা চলে যাচ্ছে। কতো স্বপ্ন দেখিয়ে কর্মীদের হাড়ি-পাতিল-লোটা-কম্বল-মশারী সব নিয়ে পাতিলেল পর পাতিল খাবার তৈরি হচ্ছে মির্জা আব্বাসের ওখানে। সেসব কোথায় গেলো?
তিনি বলেন, ১০ডিসেম্বরের এতো আওয়াজ, এতো লাল কার্ড কোথায় গেলো? সব গোলাপবাগের গরুর হাটে। বিএনপির আন্দোলন গুরুতর আহত। মাঝে মাঝে মনে হয় পিপিলিকার পাখা ওঠে মরিবার তরে। এতো লাফালাফি পতনটা নিজেদেরই হবে। অপেক্ষা করুন। ধৈর্য্য ধরুন। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত আমরা কর্মসূচি করে যাবো। কোনো পাল্টপাল্টি নয়। আমরা এক বছরের কর্মসূচি দিয়ে রেখেছি, কখনো শান্তি সমাবেশ, কখনো সম্মেলন, কখনো গণসংযোগ।
ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চাই না। নির্বাচনে আসুন। পরিবর্তন চাইলে নির্বাচনে আসেন। এখনও বলছি জনগণ ভোট না দিলে আমরা নাই। জনগনের ভোটেই (ক্ষমতা) পরিবর্তন হবে। হাকডাক দিয়ে পরিবর্তন হয় না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন আগামী নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য, সুষ্ঠু ও অবাধ হবে। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ও কতৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। শেখ হাসিনার সরকার নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা দেবে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ প্রস্তুতি নিচ্ছে’। বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাতটি দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।