স্টাফ রিপোর্টার- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগুন জ্বালানো আপনাদের পুরনো অভ্যাস। ২০১৩, ২০১৪ সালে আগুন নিয়ে খেলেছে। তারা অগ্নিসন্ত্রাস করে বাস পুড়িয়েছে, ড্রাইভার পুড়িয়েছে, কনট্রাক্টরদের পুড়িয়েছে, গাছে আগুন দিয়েছে, রেললাইনে আগুন দিয়েছে। এখন আন্দোলন জমছে না, মানুষ আন্দোলনে আসে না। আন্দোলন জমাতে বিএনপি আগুন জ্বালানোর কৌশল বেছে নিয়েছে কিনা সেটা এখন বড় প্রশ্ন।
আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পর পর কয়েক দিন একই সময়ে সেহরির পর লোকজন যখন চলে যায়, এমন টাইমে আগুন লাগে কি করে? এ জবাব আপনি (ফখরুল) দিন। যারাই আগুন দিক নির্দিষ্ট টাইমে দেশের মানুষের কাছে জানানো হবে। সত্য উদ্ঘাটন করা হবে।
দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়ে কাদের বলেন, ‘এটা নেত্রীর নির্দেশ। আপনারা সতর্ক থাকুন। শান্তি সমাবেশ করুন। কিন্তু আগুন নিয়ে খেললে সমুচিত জবাব দিন।
বিএনপির মহাসচিবকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আপনি সুযোগ পেলেই বাকশাল নিয়ে কথা বলেন। বাকশাল যদি খারাপই হবে তাহলে আপনার নেতা জেনারেল জিয়া বাকশালে যোগ দিতে কেন দরখাস্ত করেছিলেন? বাকশাল নিয়ে কিছু বলার আগে এ প্রশ্নের জবাব দেবেন। বিএনপির অনেকেই কিছু জানেন না। গোপন হুকুম আসে লন্ডন থেকে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের প্রশ্নে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা নিয়ে আমেরিকার মাথাব্যথা নেই, মাথাব্যথা বিএনপির। তারা আবার বিদেশিদের সাথে বৈঠক শুরু করেছে। আমেরিকার সাথে নাকি বৈঠক হচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে আমেরিকা নাকি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আমেরিকা আমাদেরও দাওয়াত করেছিল। পিটার হাস সাহেবের সাথে অনেক কথা হলো। তিনি নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগের কথা বলেননি ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে শেখ হাসিনাকে হটানোর ষড়যন্ত্র চলছে। বিএনপির নেতৃত্বে একটি রাজনৈতিক অপশক্তি এই ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। কারণ, বিএনপি জানে তারা আগামী নির্বাচনে জিততে পারবে না। সেজন্য ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হয়েছে। এখন আমাদের অঙ্গীকার ২০৪০ সালের মধ্যে আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ করা।