স্টাফ রিপোর্টার- রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রায়ের বাজার বদ্ধভূমিতে ঘুরতে গিয়ে ছিনতাইয়ের কবলে পড়েন দুই জাপানি নাগরিক। এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন -মোঃ খাইরুল ইসলাম স্বপন (৩০), জিহাদুল ইসলাম মামুন(১৯) ও মোঃ আবু রাসেল প্রত্যয়(২২)।
শুক্রবার(২৮ এপ্রিল) বিকালে তেজগাঁও বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক।
তিনি বলেন, গত ২৪ এপ্রিল জাপানের দুই নাগরিক শেরেবাংলা নগর থানার নন্দিনী হোটেলে উঠেন। পরবর্তীতে রাত আনুমানিক সাড়ে আটটার দিকে রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ সংলগ্ন কবরস্থানে ঘুরতে যান। রাত আনুমানিক নয়টার দিকে ওই দুই পর্যটক কবরস্থান থেকে বের হবার সময় অজ্ঞাত তিন যুবক তাদেরকে দেশীয় অস্ত্রের ভয়-ভীতি দেখিয়ে এক লক্ষ ৫৩ হাজার ৮ শত জাপানি,মুদ্রা বাংলাদেশি ২৮ হাজার টাকা, দুটি আইফোন,দুটি ক্রেডিট কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, হেলথ কার্ড,একটি পোর্টেবল রাউটার ও একটি ব্লুটুথ ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
পর্যটক দুজনেই ভীতসন্ত্রন্ত হয়ে সেখান থেকে হোটেলে চলে যায়। পরদিন বিষয়টি হোটেল ম্যানেজার কে অবহিত করলে হোটেল কর্তৃপক্ষ মোহাম্মদপুর থানা পুলিশকে বিষয়টি জানায় । পরবর্তীতে গত ২৫ এপ্রিল মঙ্গলবার নন্দিনী হোটেলের ম্যানেজার বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ডিসি আরও বলেন, মামলার তদন্ত কালে ঘটনাস্থলের আশেপাশের এলাকার বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তির সহায়তার মাধ্যমে ঘটনায় জড়িত চক্রটিকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে মোহাম্মদপুর থানার বোর্ডঘাট এলাকা থেকে ঘটনার স্বার্থে জড়িত মোঃ খাইরুল ইসলাম স্বপন নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়।
পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত স্বপনের দেওয়া তথ্য মতে মোহাম্মদপুর থানা রায়েরবাজার শুটকি আরতের পিছনে কবরস্থানের দেয়াল সংলগ্ন মাঠ থেকে ছিনতাই হওয়া জাপানি নাগরিকের পরিচয়পত্র ড্রাইভিং লাইসেন্স হেলথ কার্ড দুটি ক্রেডিট কার্ড ও একটি পাসপোর্ট ছেড়া অবস্থায় উদ্ধার করে।
আজিমুল হক জানান, অন্য দুই আসামি জিহাদুল ইসলাম মামুন(১৯) ও মোঃ আবু রাসেল প্রত্যয়(২২) ছিনতাইয়ের টাকা দিয়ে কক্সবাজার ঘুরতে যায়। কক্সবাজার গিয়ে জিহাদুল ইসলাম মামুন ও আবু রাসেল প্রত্যয় কে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া একটি আইফোন ৩০ হাজার জাপানি মুদ্রা,একটি পোর্টেবল রাউটার ও একটি ব্লুটুথ উদ্ধার করা হয়।
উপ পুলিশ কমিশনার আরও জানান, দুইটি আইফোনের মধ্যে একটি উদ্ধার করা গেল আরেকটি এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি আমরা সেটি উদ্ধারের চেষ্টা করছি। ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ৮ শত জাপানি মুদ্রার মধ্যে ৩০ হাজার মুদ্রা উদ্ধার হলেও বাকি জাপানি মুদ্রা তারা খরচ করে ফেলেছে।
জানা যায়, গ্রেফতারকৃত তিনজনের মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা রয়েছে ।