Search
Close this search box.

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ছাড়ছেন বাসিন্দারা

স্টাফ রিপোটার- বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের বাসিন্দারা আবাস ছেড়ে টেকনাফে আসতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে অন্তত ৫০০ মানুষ দ্বীপটি ছেড়েছেন বলে জানা গেছে। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ট্রলারযোগে সেন্ট মার্টিন থেকে টেকনাফ পৌঁছেছেন তারা।

সেন্ট মার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা কলেজপড়ুয়া কায়েস চৌধুরী বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকার ভয়ে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ছাড়তে শুরু করেছেন বাসিন্দারা। প্রায় ৫০০ মানুষ দ্বীপ ছেড়েছেন। মূলত সচ্ছল পরিবারের লোকজন দ্বীপ ছাড়ছেন। যারা এখনো বসতভিটায় রয়েছেন তারাও আছেন ভয়ে।

সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, সকাল থেকে প্রায় ৫০০ মানুষ সেন্ট মার্টিন ছেড়ে টেকনাফ চলে গেছেন। যারা এখনো দ্বীপে আছেন তাদের প্রত্যেককে সচেতন করা হচ্ছে। পাশাপাশি আশ্রয়কেন্দ্রসহ হোটেলগুলোতে সিপিপির ১ হাজার ৩০০ স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

টেকনাফ আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক আব্দুল মতিন বলেন, দুর্যোগে স্থানীয়দের জন্য উপজেলায় সরকারি-বেসরকারি ৮৭টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ শতাধিক হোটেল-মোটেল ও ডাকবাংলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিশেষ জোন হিসেবে সেন্ট মার্টিন, শাহপরীর দ্বীপের জন্য নৌবাহিনীসহ বিজিবি, পুলিশ, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস, মেডিকেল টিমসহ স্বেচ্ছাসেবীদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুজ্জামান বলেন, ইতিমধ্যে সেন্ট মার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপে হোটেল-মোটেলসহ অর্ধশতাধিক আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিশেষ করে দুই দ্বীপের (সেন্ট মার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপ) বাসিন্দাদের সচেতনতার পাশাপাশি আশ্রয়কেন্দ্রে আসার জন্য আগে থেকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। সে জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রীর ব্যবস্থা, স্কুল, আবহাওয়া অফিস, ডাকঘর ও হোটেলগুলো খোলা রাখতে বলা হয়েছে।

কক্সবাজার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জেলার প্রতিটি উপজেলায় পাঁচ টন চাল পাঠানো হয়েছে। কক্সবাজার সদর, মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও টেকনাফে নগদ দেড় লাখ টাকা পাঠানো হয়েছে। তা ছাড়া জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য ৪৯০ টন চাল, নগদ ১০ লাখ ৩০ হাজার টাকা, ১৯৪ বান্ডিল ঢেউটিন মজুত রয়েছে। আরও পাঁচ লাখ টাকা ও পাঁচ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ চেয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে চাহিদা পাঠানো হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ