স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সারাদেশে ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়া ডেঙ্গুর সংক্রমণ মোকাবিলায় এডিস মশাবাহিত এ ভাইরাস প্রতিরোধী টিকাদান কার্যক্রম শুরুর বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় আছে বলে। তবে, সরকার এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। রোববার (৩০ জুলাই) দুপুরে দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত জুন মাসের তুলনায় জুলাই মাসে দেশে ৭ গুণেরও বেশি ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হয়েছে। এ অবস্থায় ডেঙ্গু সংক্রমণের ক্রমহ্রাসমান হার টেনে ধরতে সিটি করপোরেশনগুলোতে মশা নিধন কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে। সাধারণ মানুষকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে অধিদপ্তর।
তিনি বলেন, দেশে জুন মাসে মোট ডেঙ্গু রোগী ছিল ৫ হাজার ৫৬ জন, সে তুলনায় জুলাই মাসের আজকের দিন (৩০ জুলাই) পর্যন্ত ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হয়েছে ৩৮ হাজার ৪২৯ জন। অর্থাৎ জুলাই মাসে জুনের তুলনায় ৭ গুণের বেশি রোগী বেড়েছে।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, এ বছরের এখন পর্যন্ত (১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুলাই) মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি। শতকরা বিবেচনায় পুরুষ রোগী ৬৪ শতাংশ, আর নারী ৩৬ শতাংশ। মধ্যবয়সী যারা, বিশেষত ১১ থেকে ৫০ বছর বসয়ীদের মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।
তিনি আরও বলেন, ঢাকার ভেতরে যেসব হাসপাতালে ডেঙ্গুরোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এরমধ্যে একটিতেই প্রচুর সংখ্যক ডেঙ্গুরোগী ভর্তি আছেন। সেটি হলো মুগদা হাসপাতাল। ঢাকা এবং ঢাকার বাইরের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঢাকার বাইরের তুলনায় ঢাকা শহরে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার হার একটু বেশি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এ পরিচালক বলেন, বর্তমানে রাজধানীর অনেকগুলো হাসপাতালে ডেঙ্গুরোগীর শয্যা পূর্ণ হয়ে গিয়েছে, কিছু হাসপাতালে এখনো খালি আছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছি, যেন ডেঙ্গুরোগীরা হাসপাতালে গিয়ে যথাযথ চিকিৎসাসেবা নিতে পারেন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা তৈরির জন্যও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।