আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাতীয় পার্টি জোটে থাকতে ও নির্বাচনে অংশ নিতে চায়। জাতীয় পার্টির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সিদ্ধান্তের জন্য ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সেদিন সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। আজ বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সেতুমন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জাতীয় পার্টি জোটে থাকতে চায়, নির্বাচন করতে চায়। তারা বলেনি সরে যাবে। শঙ্কা, আশঙ্কা থাকতে পারে। আমরা এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে চাই। ১৭ তারিখে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। সে পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করি। এখানে নতুন অভিজ্ঞতা এসেছে বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়ার। গণতন্ত্রে এটা আরেকটা নতুন অভিজ্ঞতা। সে অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হলে শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এ নিয়ে অস্থিরতার কোনো কারণ নেই।’
স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিষয়ে করা প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন হওয়ার কোনো সুযোগ আমরা রাখি নাই। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আছেন। অন্যান্য দলও আছে। এবারের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। শেখ হাসিনার এলাকায় চারজন, আমার এলাকায় চারজন। সবার এলাকায় আছে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে ব্যাপক ভোটার উপস্থিতি হবে। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র আরও পারফেক্ট হবে, পরিপূর্ণতা পাবে। জোট নিয়ে নানা গুঞ্জন, শঙ্কা ও গুজব আছে। আওয়ামী লীগ সতর্ক আছে। গুজবে, গুঞ্জনে আওয়ামী লীগ বিচলিত হবে না। আওয়ামী লীগ জেনে-শুনে চ্যালেঞ্জ নিয়েছে। সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষায় যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘আমাদের জোট নিয়ে বিভিন্ন ধরনের শঙ্কা, গুজব, গুঞ্জন আছে। তবে আমরা সতর্ক আছি। আমাদের বিভ্রান্ত করতে পারবে না।’ তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন আমাদের সফল করতে হবে, শান্তিপূর্ণ করতে হবে, ব্যাপক ভোটারের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। দেশের মানুষকে ভয় ভীতির মধ্যে রাখতে বিএনপি ও তার দোসররা চক্রান্ত করছে। তারা যতই ষড়যন্ত্র করুক, মানুষ নির্বাচনমুখী। গ্রামগঞ্জে ভোটাররা উৎসবমুখর পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে।’
এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আফজাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।