কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় সালিশি বৈঠকে লাঠির আঘাতে আব্দুল মালেক (৭৫) নামে এক দলিল লেখকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার পূর্ব কুমারপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে কিশোরগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আব্দুল মালেকের ছেলে রানা মিয়া বলেন, আমার বাবা পেশায় একজন দলিল লেখক। পাকুন্দিয়া পূর্ব কুমারপুর এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আসাদ ও আজিজুল নামের দুই ব্যক্তির মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে সালিশ বৈঠকে আমার বাবা কেন জমির কাগজ দেখে সঠিক কথা বলল, এই নিয়ে আজিজুলের নেতৃত্বে রমিজ উদ্দিন, ছোটন, জাহাঙ্গীর, হানিফ ও রফিক আমার বাবার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
তিনি বলেন, বাবার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করলে গুরুতর আহত হন। পরে আমরা বাবাকে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে আমরা বাবাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। আনার পরে চিকিৎসক বাবাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, আমার বাবা কোনো পক্ষপাতিত্ব করেননি, কাগজে যা ছিল সেটি দেখেই কথা বলেছেন। সেই কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা আমার বাবাকে হত্যা করেছে। আমার বাবা হত্যার সঠিক বিচার চাই।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানিয়েছি।