আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অপকর্ম-অন্যায়ের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স নীতিতে রয়েছেন। আবরার হত্যাকান্ডে কাউকে ছাড় দেননি প্রধানমন্ত্রী।
রোববার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে চট্টগ্রাম বিভাগের নেতাদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা অপকর্ম-অন্যায়ের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেন এবং সেই নীতিতেই আমরা এগিয়ে চলছি। আজকে বিশ্বজিৎ হত্যার বিচার করতে গিয়ে আমাদের আমাদের অনেক কর্মী দণ্ডিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। আমরা খতিয়ে দেখছি। ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার নামে বুয়েটকে জঙ্গিবাদের কারখানায় পরিণত করা হচ্ছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে, সেরকম হলে সরকারকে একশানে যেতে হবে। অপকর্ম, অন্যায়ের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স নীতিতে রয়েছেন। আবরার হত্যাকান্ডে কাউকে ছাড় দেননি প্রধানমন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতাদের কণ্ঠে আইয়ুব খানের প্রতিধ্বনি। নির্বাচনে পরাজিত হয়ে সব ইস্যুতে মার খেয়ে এখন ভারত বিরোধীতায় নেমেছে বিএনপি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া বক্তব্যে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ৭৫-এর নির্মম হত্যাকান্ড যারা ঘটিয়েছে তাদের অনুসারিরাই স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। তারা যেকোন ভাবে বঙ্গবন্ধুকে দৃশ্যপট থেকে মুছে দিতে চায়।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রশাসন কোনভাবে হস্তক্ষেপ করবে না উল্লেখ করে কাদের বলেন, জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে। আপনারা ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন না। ক্ষমতার অপব্যবহার না করলে নির্বাচনে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হবে। মন্ত্রী-এমপিরা হস্তক্ষেপ না করলে দলীয় প্রতীকের বাইরে গিয়ে নির্বাচনের উদ্দেশ্য পূরণ হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে মনোমালিণ্য এখনো চলছে। এসব ঝগড়াঝাটি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।