কুমিল্লায় এক যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনা প্রসঙ্গে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, কুমিল্লায় যুবদলের একটা ছেলেকে ধরে নিয়ে গিয়ে মৃত অবস্থায় ফিরিয়ে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ড. ইউনূসের আমলে এ ঘটনা ঘটবে কেন?
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে ভাসানী মিলনায়তনে ঠিকানা বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির পরিচিত সভায় এমন প্রশ্ন তুলেছেন রিজভী।
বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী বলেন, ড. ইউনূসকে পৃথিবীর বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও পশ্চিমা গণতান্ত্রিক দেশ অত্যন্ত পছন্দ করে এবং এ দেশের মানুষও তাঁকে পছন্দ করেন। তাঁরা মনে করেন, তিনি দেশের একজন গুণী মানুষ, যিনি দেশের জন্য আন্তর্জাতিক সম্মান বয়ে এনেছেন। কিন্তু তাঁর সময়ে যদি শেখ হাসিনা সরকারের বিভিন্ন দুষ্কর্ম ও অত্যাচারের পুনরাবৃত্তি হয়, তাহলে তো জনগণ হোঁচট খাবে।
কুমিল্লায় যুবদল নেতাকে হত্যার কঠোর সমালোচনা করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, যদি ওই ছেলেটি অপরাধী হন, তাহলে তাঁকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নেওয়া যেত। কিন্তু গ্রেপ্তার করে ভয়াবহ নির্যাতন করে মেরে ফেলে মা–বাবার কাছে ফেরত দেওয়া—এইটা এ আমলে হবে কেন?
রিজভী আরও বলেন, যখন একটি ভয়ংকর দানব রক্তপিপাসু সরকারকে এই দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছে দেশের জনগণ, সেই দেশে কেন আবার শেখ হাসিনার শাসনামলের মতো বিচারবহির্ভূত হত্যার পুনরাবৃত্তি হবে?
বিএনপির এই নেতা বলেন, ইউনুস সাহেবের সরকারকে দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ সমর্থন করেছে। তিনি নির্বাচিত না হলেও সব রাজনৈতিক দল সমর্থন দিয়েছে। কিন্তু তাঁর সরকারের আমলে হাসিনার আমলের পুনরাবৃত্তি হলে তো এই যে রাজপথে এত রক্তাক্ত আন্দোলন, রক্তের আলপনা, আহাদের মতো পাঁচ বছরের শিশু, মুগ্ধর মতো একটি তরুণ প্রাণ, আবু সাঈদের মতো তরুণের নির্ভীক চিত্তে নিজের শার্টের বোতাম খুলে শেখ হাসিনার পুলিশের গুলি বরণ করে নেওয়া, এই যে আত্মদান—সবই তো একেবারে ব্যর্থ হয়ে গেল।
একটি দেশ থেকে ক্রমাগতভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবিরাম–অপপ্রচার চালানো হচ্ছে উল্লেখ বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘এ রকম একটি ভয়ংকর অত্যাচারী–লুণ্ঠনকারী, মাফিয়া সরকারের পতনের পর সেই সরকারের কেন পতন হলো, সে আফসোস ও অনুশোচনায় ভারতের কিছু গণমাধ্যম আমাদের বিরুদ্ধে যেভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে, তা নিন্দনীয়। বিদেশি যে চক্রান্ত হচ্ছে, সেগুলোকে মোকাবিলা করেই তো সঠিক পথে চলতে হবে। যদি সরকার সঠিক পথে চলতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তো ওরা আরও সুযোগ নেবে।
এ সময় আরও বক্তৃতা করেন বিএনপির সহপ্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম।