Search
Close this search box.

খাদ্য, চিকিৎসা ও কৃষিকে অগ্রাধিকার দিতেই ইভিএম প্রকল্প স্থগিত- প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার- দেশের মানুষের জন্য খাদ্য, চিকিৎসা ও কৃষিকে অগ্রাধিকার দিতেই ৮ হাজার কোটি টাকার ইভিএম প্রকল্প স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বিরোধী দলের একজন আজ বলে ফেলেছেন- বাংলাদেশে আর্থিক সংকটের জন্য ইভিএম প্রকল্প স্থগিত করা হয়েছে। আর্থিক সংকট সারা বিশ্বব্যাপী আছে, আমাদেরও আছে। তবে এমন পর্যায়ে নেই যে আমরা চলতে পারবো না।

তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের কাছে অগ্রাধিকার হলো- মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত রাখা। মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত রাখা। মানুষের কল্যাণটা আগে দেখা। কৃষি উৎপাদন যেন বাড়ে সেজন্য যা কিছু লাগে আমরা খরচ করবো। আমাদের যেটা এখনই প্রয়োজন নাই সেটা আমরা কেন করতে যাবো। মানুষের খাদ্য চাহিদা, শিক্ষা চাহিদা, চিকিৎসা চাহিদা এগুলো আগে রক্ষা করা দরকার। আমরা সেটাই করে যাচ্ছি।

মঙ্গলবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে সম্মেলনে যোগ দিয়ে  জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) তিন দিনব্যাপী বার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরুল্লাহ বিভাগীয় কমিশনারদের পক্ষে এবং নরসিংদীর জেলা প্রশাসক আবু নাঈম মোহাম্মদ মারুফ খান ও বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভিন তিবরিজি জেলা প্রশাসকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে স্থানীয় প্রশাসনের সার্বিক উন্নয়নের উপর একটি ভিডিও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

স্বাগত বক্তব্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, জেলা প্রশাসকদের দেয়া মোট ২৪৫টি প্রস্তাবের ওপর ২৬টি কার্য অধিবেশনে আলোচনা করা হবে।

সরকার প্রধানের পাশাপাশি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মন্ত্রী ও সচিবরা আলোচনায় যোগ দেবেন এবং ডিসিদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন বলে জানান তিনি।

তিনি আরো জানান, ২৬ জানুয়ারি শেষ হতে যাওয়া তিন দিনব্যাপী সম্মেলনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, স্বাস্থ্য, ভূমি, ব্যবস্থাপনা ও শিক্ষা সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো অগ্রাধিকার পাবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ডিসিরা গত বছরের সম্মেলনে ২৪২টি প্রস্তাব রেখেছিলেন, যার মধ্যে ১৭৭টি বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং অবশিষ্ট ৬৬টি প্রস্তাবের বাস্তবায়ন চলছে। সম্মেলনের সময়সূচি অনুযায়ী, দ্বিতীয় দিনে ২৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর সঙ্গে ডিসিরা সাক্ষাত করবেন। সম্মেলনের তৃতীয় দিনে তারা রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে আরেকটি সাক্ষাৎ করবেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ