রাজধানীতে খুচরা পর্যায়ে এখনও চাল বেচাকেনা চলছে আগের দামে। মন্ত্রী-সচিবদের হুঁশিয়ারিতেও কমল না দাম।
এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের যুক্তি, বস্তায় মাত্র ৫০ বা ১০০ টাকা দর কমালে বড় প্রভাব পড়বে না। নজরদারি বাড়াতে হবে মিলার ও কর্পোরেট কোম্পানির গুদামে। যদিও আগের মতো অর্ডার নেই বলে দাবি করেছে মিল মালিকরা।
মাঝে খাদ্য বিভাগ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়। পাইকারিতে বস্তা প্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা দর কমে সব ধরনের চালের। কিন্তু খুচরা পর্যায়ে এর কোনো প্রভাব নেই। রাজধানীর কারওয়ানবাজার চাল বিক্রি হচ্ছে আগের দামে। অর্থাৎ, মিনিকেটের কেজি ৬৫-৬৮ টাকা। ন্যূনতম ৫০ টাকা গুনতে হবে বিআর-২৮ ও পাইজামের জন্য। পোলাও চাল আর নাজিরশাইলের বিকিকিনি নেই বললেই চলে।
পাইকার ও মিলাররা ঘুরেফিরে পুরোনো যুক্তিই দিচ্ছেন। দু’পক্ষই পরস্পরকে দাম বাড়ানোর অনুঘটক ভাবছে। কারো অভিযোগের তীর কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান ও লাইসেন্সহীন মজুতদারদের ওপর।
কৃষকের ভাষ্য, তাদের পণ্ডশ্রম হচ্ছে। বছর ঘুরলেই বাড়ছে ধানের উৎপাদন খরচ। সার, কীটনাশক, শ্রমিক কোনো ব্যয় নিয়েই স্বস্তি নেই। অথচ ধান বিক্রি হচ্ছে গেল বছরের চেয়ে কম দরে।
মৌসুমে ফলন ভালো হওয়ায় এখন পর্যন্ত চাল আমদানির অনুমতি দেয়নি সরকার। গত অর্থবছরে বিদেশ থেকে এসেছিল ১০ লাখ ৫৬ হাজার টন চাল।