স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) শনিবার (৩১ আগস্ট) রাতে ৩ দফায় হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ঢামেকের জরুরি বিভাগের চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দেন চিকিৎসকরা। এ ঘটনায় হামলাকারীদের আটক ও শাস্তি নিশ্চিত এবং সারা দেশে চিকিৎসক ও রোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ ২ দফা দাবি জানানো হয়।
চিকিৎসকদের এসব দাবি পূরণ না হওয়ায় সারা দেশে সব চিকিৎসাকেন্দ্রে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করেন তারা। সেই সঙ্গে আরও ৬ দফা দাবিও জানানো হয়।
এ বিষয়ে নিউরো সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ডা. শাহনেওয়াজ বিশ্বাস বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এ কর্মসূচী নয়। আমরা শুধু আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই। রাজনৈতিক কোন দলও এখানে ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করবে না।
প্রসঙ্গত, শনিবার মধ্যরাতে খিলগাঁও সিপাহীবাগ এলাকা থেকে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহতরা ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে আসেন। পরে অন্য আরেক গ্রুপ চাপাটিসহ হাসপাতালে জরুরি বিভাগের ভেতরে ঢুকে যায়। এ সময় হাতেনাতে চারজনকে আটক করে সেনাবাহিনীকে দেয় কর্তৃপক্ষ।
পরে অন্য আরেক রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের অনস্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে ভাঙচুর চালায় রোগীর স্বজনরা।
নিরাপত্তা শঙ্কায় জরুরি বিভাগের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। আল্টিমেটামের ২৪ ঘণ্টা শেষ হওয়ার আগেই কর্মবিরতিতে যান তারা।