নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস আজ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় এ বছর দিবসটি পালন করা হচ্ছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী বিশ্বের সকল দেশের শান্তিরক্ষীদের অসামান্য অবদানকে এই দিনে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উদযাপনে বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয়ভাবে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সকালে শান্তি রক্ষীদের স্মরণের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হবে। আইনমন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে সকাল বেলা “শান্তিরক্ষী দৌড়-২০২২” অনুষ্ঠান উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শহীদ শান্তিরক্ষীদের নিকট-আত্মীয় এবং আহত শান্তিরক্ষীদের জন্য সংবর্ধনা এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ওপর বিশেষ উপস্থাপনার আয়োজন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শহীদ শান্তিরক্ষীদের নিকট-আত্মীয় এবং আহত শান্তিরক্ষীদের জন্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভিটিসির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আইএসপিআর জানিয়েছে। এই অনুষ্ঠানটি সরাসরি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বিটিভি ওয়ার্ল্ড সম্প্রচারের ব্যবস্থা নিয়েছে।
১৯৮৮ সাল থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিয়ে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা সর্বোচ্চ পেশাদারি মনোভাব, আনুগত্য ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে চলেছেন। তাদের অনন্য অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে এবং আমাদের শান্তিরক্ষীরা শান্তিরক্ষা মিশনে একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে।
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি জনবল প্রেরণকারী রাষ্ট্র বাংলাদেশ। বিশে^র বিভিন্ন দেশে ৯টি মিশনে প্রায় সাত হাজার শান্তিরক্ষী নিয়োজিত রয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছে সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী ও পুলিশ সদস্য। ১৯৮৮ সালে ইরাক ও ইরানে সামরিক পর্যবেক্ষক হিসেবে ১৫ জন বাংলাদেশীর দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়। গত বছর ২৯ মে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ দিবস পর্যন্ত ৩২ বছরে এক লাখ ৭৬ হাজার ৬৬৯ জন বাংলাদেশী বিশে^র ৪০টি দেশের ৫৪টি মিশনে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন দুই হাজার ১৮৪ জন নারী।