শনিবার বিকালে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয় এই ভাষাসৈনিক ও মুক্তিসংগ্রামীকে।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮৮ বছর বয়সে গত ১৯ মে যুক্তরাজ্যে মারা যান একুশের গানের রচয়িতা গাফফার চৌধুরী। সকালে লন্ডন থেকে বিমানে মরদেহ ঢাকায় পৌঁছানোর পর নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
দুপুরে শহীদ মিনারে রাষ্ট্রীয় সম্মন এবং সর্বসাধারণের শ্রদ্ধায় সিক্ত হন প্রয়াত এই সাংবাদিক-সাহিত্যিক। পরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর মরদেহ নেওয়া হয় শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে।
২০১২ সালের ১৮ ডিসেম্বর লন্ডনে মৃত্যুর পর মিরপুরের এই কবরস্থানেই শেষ শয্যা হয় স্ত্রী সেলিমা আফরোজ চৌধুরীর। সেখানে দীর্ঘদিনের সঙ্গীর পাশেই শায়িত হলেন গাফফার চৌধুরীও।
তার কবরের একপাশে মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত ‘চরমপত্র’ এর স্রষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা এম আর আখতার মুকুল। আরেক পাশে মুক্তিযোদ্ধা ও গীতিকার ইমতিয়াজ বুলবুলের কবর।
আশেপাশে শায়িত আছেন মুক্তিযোদ্ধা ও অভিনেতা হুমায়ুন ফরিদী, গোলাম মোস্তফা, কমরেড আলী আকসাদ, সাংবাদিক ও ভাষা সৈনিক কে জি মুস্তাফা, শিল্পী কলিম শরাফী, সংগীতগুরু সোহরাব হোসেন।
দুপুর ১টায় গাফফার চৌধুরীর কফিন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পৌঁছনোর পর প্রথমে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হয়। এসময় তার স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এরপর গাফফার চৌধুরী রচিত সেই অমর গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গেয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
বেলা ৩টায় শ্রদ্ধা নিবেদনের পর্ব শেষে শহীদ মিনার থেকে কফিন নেওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে, সেখানে জানাজার পর মরদেহ নেওয়া হয় জাতীয় প্রেস ক্লাবে।
সেখানে প্রবীণ-নবীন সাংবাদিকরা ফুল দিয়ে অগ্রজের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। এর আগে প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে জানাজাও হয়।পরে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে নিয়ে সন্ধ্যার আগেই দাফন করা হয়।