\ ফিরোজ মান্না \ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একক সিদ্ধান্তে উদ্যোগের ফসল স্বপ্নের পদ্মা সেতু। নিজস্ব অর্থায়নের নির্মিত এই সেতু ২৫ জুন দেশের চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে। সরকার সেতু উদ্বোধন উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য আয়োজন করবে। পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগও বর্ণাঢ্য আয়োজনের অংশ হবে।
দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৯টি জেলাকে সারা দেশের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করবে পদ্মা সেতু। এ সেতুর মাধ্যমে মোংলা বন্দর ও বেনাপোল স্থলবন্দরের সঙ্গে রাজধানী এবং বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে।
মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ীতে জনসভায় ১০ লাখ লোকের উপস্থিতি নিশ্চিত করবে। জনসভার পর ফানুস ওড়ানো থেকে শুরু করে জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। সেতুর পাশাপাশি সাজানো হবে পদ্মা নদীর দুই তীর। নদীতে থাকবে সুসজ্জিত নৌকা। জনসভার মঞ্চ এমনভাবে করা হবে যেন সেখান থেকে নদী ও পদ্মা সেতু দেখা যাবে। আওয়ামীলীগের প্রত্যাশা-শুধু পদ্মা সেতুর দুই পারের মানুষই নয়, উদ্বোধনের দিন সারা দেশের মানুষ এই উৎসবে অংশ নেবে। কেউ সমাবেশস্থলে এসে, আবার কেউ টেলিভিশনের মাধ্যমে সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। আবার অনেকেই দেখবেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সারা দেশ উৎসবে মেতে উঠবে ২৫ জুন। পাশাপাশি দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ে আনন্দ মিছিল, শোভাযাত্রা, আতশবাজিসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনন্দ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। দিনটি উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোও সারা দেশে নানা কর্মসূচির আয়োজন করবে বলে দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ীতে জনসভা সফল করার জন্য ৮ জুন বিকাল ৩টায় ঢাকায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পার্শ^বর্তী ৬ জেলার কেন্দ্রীয় নেতা, সংসদ সদস্য, জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়রদের নিয়ে মতবিনিময় করবেন। এই মতবিনিময় সভায় সমস্থ আয়োজন সফল করার বিষয়ে আলোচনা হবে।
আওয়ামী লীগ নেতা নূহ-ই-আলম লেনিন চৌধুরী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, পদ্মা সেতু চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক মুক্তি ঘটবে। মোংলা, পায়রা নৌবন্দর ও বেনাপোল স্থলবন্দরে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বেরে যাবে। সৃষ্টি হবে নানা ধরণের কর্মসংস্থান। পদ্মা সেতুর যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে রেললাইনও যুক্ত হওয়ায় কী ধরনের অর্থনৈতিক তৎপরতা বাড়বে, তা চিন্তাই করা যায় না। পদ্মা সেতু আমাদের স্বপ্নের সেতু। এই স্বপ্নের সেতুটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে স্মরনীয় করে রাখতে ঐতিহাসিক জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। জনসভাটিও দেশের মানুষের কাছে স্মনীয় হয়ে থাকবে।