স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিদেশি নাগরিক, এমনটিই দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুধু তাই নয়, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে প্রশ্নও রেখেছেন, দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ও বিদেশি নাগরিক তারেক রহমান কীভাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হন।আজ রোববার সকালে সচিবালয়ে নিজের দপ্তরে ব্রিফিংকালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের লিখিত ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘তারেক রহমানের মতো একজন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামির কত টাকা বিনিয়োগ করলে বিদেশি নাগরিকত্ব পাওয়া যায়? তারেক রহমান বিনিয়োগকৃত টাকা মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমেই বিদেশে পাচার করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘যাদের শাসনামলে দেশ পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়নের কলঙ্ক তিলক পরেছিলো এবং দলের গঠনতন্ত্র থেকে যে দল দুর্নীতি বিরোধী সাত ধারা বাতিল করে দুর্নীতিবাজদের দলে বিচরণের পথ উন্মুক্ত করে তারাই আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ দল, তারাই দুর্নীতির পৃষ্ঠপোষক।’
বিএনপিনেতাদের গণতন্ত্র ও নির্বাচন নিয়ে কথা বলা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জিয়াউর রহমান হ্যাঁ/না ভোটের মাধ্যমে কোন গণতন্ত্র রক্ষা করেছিলেন?’ জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান হিসেবে অবৈধভাবে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা, ১৯৭৭ সালে বিতর্কিত রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, ’৭৯ সালে সংসদ নির্বাচন, ’৮১ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনসহ প্রতিটি নির্বাচনই ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।’
মাগুরার নির্বাচনের কথা জনগণ এখনও ভুলে যায়নি’ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন করেন—‘খালেদা জিয়ার ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচন, ২০০৬ সালে এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটারসহ নির্বাচনের প্রচেষ্টা কোন গণতন্ত্র? নির্বাচনকালে বিএনপির সন্ত্রাস, ভোট কেন্দ্র দখল, প্রকাশ্যে সিল মারা, প্রতিপক্ষ নেতাকর্মীদের হত্যা, ধর্ষণ, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্মম নির্যাতন, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া কি বিএনপির গণতান্ত্রের নমুনা?’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপির শাসনামলে কথা উল্লেখ করে আরও বলেন, ‘বিএনপি এ দেশের ইতিহাসে যে ঘৃণ্য নজির সৃষ্টি করেছে, দেশের মানুষ তা এখনও ভুলে যায়নি। যাদের শাসনামলে দেশ পরপর পাঁচ বার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের কলঙ্ক তিলক পরেছিল এবং দলের গঠনতন্ত্র থেকে যে দল দুর্নীতিবিরোধী সাত ধারা বাতিল করে দুর্নীতিবাজদের দলে বিচরণের পথ উন্মুক্ত করে, তারাই আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ দল, তারাই দুর্নীতির পৃষ্ঠপোষক।’