Search
Close this search box.

মেডিক্যাল বর্জ্য পোড়াতে ইনসিনারেটর প্ল্যান্ট স্থাপন করতে চায় জাইকা

মেডিক্যাল বর্জ্য পোড়াতে ইনসিনারেটর প্ল্যান্ট স্থাপন করতে চায় জাইকা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের সকল সিটি কর্পোরেশনের আওতাভূক্ত হাসপাতাল থেকে উৎপন্ন মেডিক্যাল বর্জ্য পোড়ানোর জন্য ইনসিনারেটর প্ল্যান্ট স্থাপনে অর্থায়নের আগ্রহ প্রকাশ করেছে উন্নয়ন সহযোগী জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। চট্টগ্রাম ওয়াসায় পিপিপি মডেলে নতুন একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনে বিনিয়োগেরও আগ্রহের কথা জানান রাষ্ট্রদূত।

আজ মন্ত্রণালয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সাথে সাক্ষাৎ করতে এসে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি মন্ত্রীকে তাদের এ আগ্রহের কথা জানান। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জাপানের অর্থায়নে ওয়াটার ট্রিটমেন্তট প্ল্যান্ট এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ইনসিনারেশন প্ল্যান্ট স্থাপনের আগ্রহকে স্বাগত জানান। মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে তাদের আগ্রহের ব্যাপারে প্রস্তাব দিলে তা যাচাই-বাছাই করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে রাষ্ট্রদূতকে জানান মন্ত্রী।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, `মেডিক্যাল বর্জ্যগুলোকে একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় আনতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল, ডায়গনস্টিক সেন্টারগুলোকে তাদের মেডিকেল বর্জ্য যত্রতত্র না ফেলে জীবাণুমুক্ত করে নির্ধারিত ব্যাগে ভরে বর্জ্য সংগ্রহকারীদেরকে দেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেছে সরকার। মেডিকেল বর্জ্যর পাশাপাশি শিল্পবর্জ্য ও ইলেকট্রনিক বর্জ্য সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন হতে হবে। পরিবেশ সম্মত উপায়ে এসব বর্জ্য ডিসপোজাল করতে পারলে পরিবেশ দূষণ রোধ করা সম্ভব হবে।’

বাংলাদেশের অবকাঠামোসহ বিভিন্ন খাতে শহর ও পল্লী এলাকায় জাপানের উন্নয়ন সংস্থা – জাইকা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী। সাক্ষাতকালে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেসব পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন সেগুলো বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে অনেক শক্তিশালী হবে। জাপান বাংলাদেশের উন্নয়নে অনেক সহযোগিতা করেছে, সেই সহযোগিতা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানান রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। দীর্ঘ পথপরিক্রমায় এই সম্পর্ক আজ অত্যন্ত সুদৃঢ়। ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত।

এসময়, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মাদ মেজবাহ্ উদ্দিন, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ সহ স্থানীয় সরকার বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ