স্টাফ রিপোর্টার : বন্যা মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর ঘুম হচ্ছে না। রাতদিন বন্যার্তদের খোঁজ নিচ্ছেন। অথচ বিএনপি বনার্ত্যদের সহায়তায় না করে ঢাকায় বসে বাগাড়ম্বর করছে বলে জানান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি। বলেন, সরকার পদ্মাসেতুর উদ্বোধন করছে, কোনো উৎসব করছে না। বিএনপি চায় না পদ্মাসেতুর উদ্ধোধন হোক। এটা তাদের জন্য জ্বালা-যন্ত্রনার মতো।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার বন্যার্তদের সহায়তায় যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে…, আমাদের একজন নেতা ছাড়া বন্যার কারণে আর কেউ কিন্তু মৃত্যুবরণ করেননি। এটি প্রমাণ করে যে, আমাদের দল বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে। উনারা তো পাশে দাঁড়াননি, এখানে বসে বসে বাগাড়ম্বর করেন, ভাষণ দেন।
তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতু তো তাদের জন্য একটি যন্ত্রণা। বিএনপি-জামায়াত এবং যারা পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছিল, তাদের জন্য এটি একটি যন্ত্রণার বিষয়। কারণ পদ্মা সেতু হোক তারা চায়নি। তাই এটা হলো একটা জ্বালা, আর উদ্বোধন হলে তো আরও বড় জ্বালা। সে জ্বালা থেকেই এসব কথা বলছে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনে সরকার কোনো উৎসব করছে না। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ আজ উল্লসিত। দেশের মানুষ এটিকে শুধু একটি সেতু হিসেবে নেয়নি। এটি আমাদের সক্ষমতার প্রতীক। এখানে একটি জনসভা হবে আর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে। তারা চায় না পদ্মা সেতু উদ্বোধন হোক। তাই এটিকে বানচাল করতে নানা পরিকল্পনা করেছিল, এর অনেকগুলো নস্যাৎ করা হয়েছে আর কিছু কিছু তারা করতে পেরেছে।
বন্যার বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, উত্তরাঞ্চলের বন্যার পানি এরই মধ্যে মধ্যাঞ্চলে এসেছে। এটি স্বাভাবিকভাবে দক্ষিণাঞ্চলে যাবে। খোদা না করুক, যদি ভবিষ্যতে এ রকম কোনো পরিস্থিতি হয় তাহলে আমাদের সেটা মোকাবিলা করতে পদ্মা সেতু সহায়ক হবে। এজন্যই পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়া দরকার।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, খালেদা জিয়া বলেছিলেন আওয়ামী লীগ সরকার পদ্মা সেতু করতে পারবে না। আবার বলেছিলেন বানালে সেটি জোড়াতালি দিয়ে হবে। এটি তো বিল্ডিংয়ের ছাদ না যে একবারে ঢালাই দিয়ে বানাবে। এটা ধীরে ধীরেই বানাতে হবে।
একদিনে এক হাজার মিলিলিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বন্যার ৮-১০ দিন আগে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার বৈঠকে বলেছিলেন, এবার বন্যা হতে পারে। তিনি আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ নন, তার সাধারণ জ্ঞান থেকে তিনি এ কথা বলেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী এই বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনের সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে নির্দেশ দেন। তিনি সেনাবাহিনীকে কাজে লাগিয়েছেন। আমাদের দলের নেতাকর্মীদেরও নির্দেশ দিয়েছেন বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে।