Search
Close this search box.

পেনশন সুবিধার আওতায় আসছে ষাটোর্ধ্ব নাগরিকরা

পেনশন সুবিধার আওতায় আসছে ষাটোর্ধ্ব নাগরিকরা

স্টাফ রিপোর্টার : পেনশন সুবিধার আওতায় আসছে ষাটোর্ধ্ব নাগরিকরা। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে অর্থ বিভাগের উপস্থাপিত এ আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।

প্রস্তাবিত এ আইনের খসড়া অনুযায়ী, জাতীয় পরিচয়পত্রকে ভিত্তি ধরে ১৮ বছরের বেশি ও ৫০ বছরের কম বয়সী সব বাংলাদেশি নাগরিক এই পেনশন ব্যবস্থাপনায় অংশ নিতে পারবে। কমপক্ষে দশ বছর প্রিমিয়াম পরিশোধকারী ব্যক্তি ৬০ বছর বয়স থেকে আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন।

সভা শেষে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব ড. খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীরা অংশ নিতে পারবেন। তবে সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মরতরা এই পেনশন ব্যবস্থাপনার বাইরে থাকবেন।

সচিব বলেন, সার্বজনীন পেনশন কার্যক্রম পরিচালনায় একটি অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের একটি কমিটি থাকবে। এছাড়া পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি সার্বিক কার্যক্রম তদারকি করবে।

কত টাকা প্রিমিয়াম দিতে হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, আইন কার্যকর হওয়ার পর বিধি দ্বারা এটা নির্ধারণ করা হবে।

সার্বজনীন ব্যবস্থাপনা আইনের বিষয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা দিচ্ছি যে সরকার আগামী অর্থবছরে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্তমানে দেশে শুধু সরকারি কর্মচারীরা পেনশন পেলেও বেসরকারি চাকরিজীবীসহ সবাইকে পেনশনের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি ছিল আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে। তার ধারাবাহিকতায় ষাটোর্ধ্ব সব নাগরিককে পেনশন সুবিধার আওতায় আনতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নতুন আইন হচ্ছে।

তিনি জানান, ২০২০ সালে দেশে ষাটোর্ধ্ব জনসংখ্যা ছিল ১ কোটি ২০ লাখ, যা ২০৪১ সালে ৩ কোটি ১০ লাখ এবং ২০৬১ সালে ৫ কোটি ৫৭ লাখে দাঁড়াবে। প্রত্যাশিত গড় আয়ু বর্তমানে ৭৩ বছর, যা ২০৫০ সালে ৭৯ দশমিক ৯ বছর এবং ২০৭৫ সালে ৮৪ দশমিক ৩ বছর হবে।

প্রত্যাশিত গড় আয়ু বাড়ার কারণে ধীরে ধীরে বয়স্ক জনসংখ্যা বাড়তে থাকার বিষয়টি তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে একান্নবর্তী পরিবারের মাধ্যমে বয়স্ক ব্যক্তিবর্গের জন্য গ্রামে যে সামাজিক সুরক্ষাসহ নিরাপত্তাবলয় ছিল তা ক্রমান্বয়ে হারিয়ে যাচ্ছে। একক পরিবারে বসবাস বৃদ্ধি পাবার কারণে বয়োবৃদ্ধদের নিরাপত্তা ক্রমান্বয়ে হুমকির দিকে ধাবিত হচ্ছে।

বাংলাদেশের শ্রম বাজারের ৮৫ শতাংশ জনবলই অনানুষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত। অনানুষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত এবং প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য কোনো প্রাতিষ্ঠানিক সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামো না থাকায় বৃদ্ধকালে তাদের জীবনযাপনে অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সরকার বয়স্ক ও দুঃস্থ জনগোষ্ঠীর জন্য বিভিন্ন কার্যক্রমের আওতায় সামাজিক সুরক্ষাকল্পে প্রায় ১ কোটি ১৫ লাখ সুবিধাভোগীকে সহায়তা দিচ্ছে। সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকারকে বিবেচনায় নিয়ে বয়স্ক ও দুঃস্থ জনসাধারণের জন্য একটি টেকসই সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী নিশ্চিত করার জন্য সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রবর্তনের লক্ষ্যে ‘সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২২’ প্রণয়নের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ