স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘কি দুঃসময়, কি চ্যালেঞ্জ, দেশে-বিদেশের চক্রান্ত—সবকিছুকে অতিক্রম করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন, বাঙালি বীরের জাতি।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করা হবে, করা হয়েছে৷ তিনি প্রমাণ করেছেন, আমরাও পারি। পদ্মা সেতু নির্মাণে একজনেরই কৃতিত্ব, তিনি বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আপনি হৃদয়ে নাম লিখেছেন। গোটা জাতি আপনাকে স্যালুট করে।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যেমন করেছেন। তেমনি যতদিন পদ্মা থাকবে, পদ্মা সেতু থাকবে আপনার নাম সম্মানের সঙ্গে স্মরণ করা হবে। বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য শেখ রেহানা, সজিব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, রেদোয়ান মুজিব সিদ্দিকিসহ সবাইকে অপবাদ দেওয়া হয়েছে। একটি পরিবারকে অপমান করা হয়েছে। তাদের কি অপরাধ? আমরা সব অপমানের প্রতিশোধ নিয়েছি।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘কেন পদ্মা সেতুর সঙ্গে তার নাম থাকবে না, সেটাই ছিল সবার দাবি। কিন্তু তিনি সেটি গ্রহণ করেননি। কাগজের লেখা নাম ছিঁড়ে যাবে, ব্যানারে লেখা নাম ছিঁড়ে যাবে, পাথরে লেখা নাম মুছে যাবে, কিন্তু হৃদয়ে লেখা নাম রয়ে যাবে। যতদিন পদ্মা সেতু থাকবে সম্মানের সঙ্গে আপনার নামটি উচ্চারিত হবে।’
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে মাওয়া প্রান্তে আয়োজিত সুধী সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। সুধী সমাবেশে সরকারের মন্ত্রী, স্পিকার, রাজনীতিবিদ, কূটনৈতিক, শিক্ষাবিদসহ বিশিষ্টজনেরা অংশ নিচ্ছেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার… তিনি যদি না থাকতেন আমরা এই প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করতে পারতাম না। চায়না মেজর ব্রিজের মালামাল পর্যন্ত নদীতে ভেসে যাচ্ছিল। আমি আজ কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করি, শেখ হাসিনার মুখের দিকে চেয়ে পদ্মার দুই পাড়ের মানুষ নিজেদের পৈত্রিক সম্পত্তি ত্যাগ করেছিল। এপার-ওপার দুপার ভাঙে, স্রোতে সেতুর নির্মাণসামগ্রী ভাসিয়ে নিয়েছে। শুরুতে কাজ ছিল কঠিন। পদ্মার দুই পারের মানুষ ফসলি জমি, পৈতৃক সম্পত্তি যাঁরা ত্যাগ করেছেন, তাঁদের শ্রদ্ধা জানাই।’
তিনি বলেন, ‘ভাঙনের খেলা পদ্মা পারে। দেশ বিদেশের ষড়যন্ত্র। সব প্রতিবন্ধকাতা জয় করে আমরা আমাদের অপমানের প্রতিশোধ নিয়েছি।’