Search
Close this search box.

শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা : পলাতক ফাঁসির আসামি পিন্টু গ্রেপ্তার

শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা : পলাতক ফাঁসির আসামি পিন্টু গ্রেপ্তার

স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা মামলায় পলাতক ফাঁসির আসামি জাকারিয়া পিন্টুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৯৯৪ সালে পাবনার ঈশ্বরদীর রেলস্টেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ট্রেন বহরে বোমা হামলা ও গুলির মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া তিন বছর পলাতক আসামি পিন্টুকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কক্সবাজারের টেকনাফে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে র‍্যাবের গোয়েন্দা দল। জাকারিয়া পিন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন খান নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তার পিন্টু ২৮ বছর আগে ১৯৯৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে হামলা ও গুলিবর্ষণের মাধ্যমে হত্যাচেষ্টা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এবং অস্ত্র মামলাসহ একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ও ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি। ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু এ মামলার শুরু থেকেই পলাতক ছিলেন। তার সঙ্গে আরও আটজনের মৃত্যুদণ্ড এবং ২৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে এ মামলায়।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালে ছিলেন বিরোধীদলীয় নেতা। সে সময় ক্ষমতায় ছিল বিএনপি সরকার। প্রধানমন্ত্রী ছিলেন খালেদা জিয়া। ওই বছর ২৩ সেপ্টেম্বর দলীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ট্রেন মার্চ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। খুলনা থেকে ট্রেনে করে সৈয়দপুর যাওয়ার পথে ঈশ্বরদী স্টেশনে তার যাত্রাবিরতি ও পথসভা করার কথা ছিল। ট্রেনটি ঈশ্বরদী স্টেশনে পৌঁছালে শেখ হাসিনার বগি লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা ছোড়া হয়। তবে ওই ঘটনায় প্রাণে বেঁচে যান আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

হামলার ঘটনায় রেল পুলিশের ওসি নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে সাত জনের নাম উল্লখ করে এবং আরও শতাধিক ব্যক্তিকে ‘অজ্ঞাত পরিচয়’ আসামি হিসেবে দেখিয়ে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু তখনকার বিএনপি সরকারের সময়ে এ মামলার তদন্ত আটকে থাকে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে পুলিশকে পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। তদন্ত শেষে ঈশ্বরদীর বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ ৫২ জনকে আসামি করে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ। পরে অভিযোগ গঠন করে আসামিদের বিচার শুরু করে আদালত।

পাবনার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক রোস্তম আলী ২০১৯ সালের ৩ জুলাই এ মামলার রায়ে বিএনপির ৯ নেতাকর্মীকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এছাড়া ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয় রায়ে।

মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্যান্যরা হলেন- ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি একেএম আক্তারুজ্জামান (৬০), ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও তৎকালীন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু (৫০), ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মোখলেছুর রহমান বাবলু (৫৭), পৌর যুবদলের সভাপতি মোস্তফা নুরে আলম শ্যামল (৪০), স্থানীয় বিএনপি নেতা রেজাউল করিম শাহীন (৪৫), শহিদুল ইসলাম অটল (৪৫), আজিজুর রহমান ওরফে প্রব্লেম শাহিন (৪৬), মাহবুবুর রহমান ওরফে পলাশ (৪০), শামসুল আলম (৫৫)। এদের মধ্যে জাকারিয়া পিন্টু পলাতক ছিলেন।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, আমিনুল ইসলাম ওরফে আমিন (পলাতক), আজাদ হোসেন ওরফে খোকন, ইসমাইল হোসেন জুয়েল, আলাউদ্দিন বিশ্বাস, শামসুর রহমান শিমু, আনিসুর রহমান ওরফে সেকম (পলাতক), আক্কেল আলী, মো. রবি (পলাতক), মো. এনাম, আবুল কাশেম ওরফে হালট কাশেম (পলাতক), কালাবাবু (পলাতক), মামুন (পলাতক), মামুন (পলাতক), সেলিম, কল্লোল, তুহিন, শাহ আলম লিটন, আবদুল্লাহ আল মামুন রিপন, লাইজু (পলাতক), আবদুল জব্বার, পলাশ, হাকিমুদ্দিন ওরফে টেনু, আলমগীর, আবুল কালাম (পলাতক) ও একেএম ফিরোজুল ইসলাম পায়েল।

১০ বছরের দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নেফাউর রহমান ওরফে রাজু, ঈশ্বরদী পৌর কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন জনি, আজমল হোসেন ডাবলু, রনো (পলাতক), বরকত, চাঁদ আলী (পলাতক), এনামুল কবির, মুক্তা, হাফিজুর রহমান ওরফে মুকুল, হুমায়ন কবির ওরফে দুলাল, জামরুল (পলাতক), তুহিন বিন সিদ্দিক ও ফজলুর রহমান।

 

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ