স্টাফ রিপোর্টার : দেশবাসীকে উচ্ছ্বাসে ভাসিয়ে জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার উদ্বোধন করেন নিজের সাহস আর একান্ত প্রচেষ্টায় গড়া পদ্মা সেতু। আজ রোববার সকাল ৬টা থেকে সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এদিন সকাল থেকে প্রথম ৮ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ২০০টি গাড়ি চলাচল করেছে। এসব গাড়ি থেকে টোল আদায় করা হয়েছে ৮২ লাখ ১৯ হাজার ৫০ টাকা।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবুল হোসেন আজ বিকেলে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ৮ ঘণ্টায় মাওয়া প্রান্তে ৮ হাজার ৪৩৮টি গাড়ি থেকে আয় ৪৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫৫০ টাকা। জাজিরা প্রান্তে ৬ হাজার ৭৬২টি গাড়ি থেকে আয় ৩৫ লাখ ২৯ হাজার ৫০০ টাকা।
প্রকৌশলী আবুল হোসেন বলেন, সকাল থেকে যেসব গাড়ি চলাচল করেছে তার ৬০ শতাংশই মোটরসাইকেল। সে তুলনায় বড় যানবাহন কিছুটা কম।
সেতুর টোলপ্লাজায় দায়িত্বরত এই কর্মকর্তা আরও বলেন, সকাল থেকেই আমরা প্রস্তুত ছিলাম। ৬টার আগেই আমরা যানচলাচলের জন্য কাজ শুরু করি।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে। এতে জানানো হয়, সেতুতে ৬০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে গাড়ি চালানো যাবে না। এছাড়া পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব রক্ষার্থে ব্যবহারকারীদের জন্য কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, পদ্মা সেতুর ওপর অনুমোদিত গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার, পদ্মা সেতুর ওপর যেকোনও ধরনের যানবাহন দাঁড়ানো ও যানবাহন থেকে নেমে সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে ছবি তোলা ও হাঁটা সম্পূর্ণ নিষেধ। তিন চাকাবিশিষ্ট যানবাহন (রিকশা, ভ্যান, সিএনজি অটোরিকশা ইত্যাদি), হেঁটে, সাইকেল বা নন-মটোরাইজড গাড়িযোগে সেতু পারাপার হওয়া যাবে না। গাড়ির বডির চেয়ে বেশি চওড়া এবং ৫.৭ মিটারের চেয়ে বেশি উচ্চতার মালামালসহ যানবাহন সেতুর ওপর দিয়ে পারাপার করা যাবে না। সেতুর ওপরে কোনও ধরনের ময়লা ফেলা যাবে না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।