Search
Close this search box.

অবরোধকারী মোটরসাইকেল আরোহীদের সরিয়ে টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী

অবরোধকারী মোটরসাইকেল আরোহীদের সরিয়ে টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী

স্টাফ রিপোর্টার : পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে জাজিরা প্রান্তে এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধের চেষ্টা করেছিল বাইক আরোহীরা। এতে প্রায় ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ গাড়ির সারি তৈরি হয়। দুপুরে মোটরসাইকেলবাহী পিকআপ টোলপ্লাজা থেকে ফিরিয়ে দিলে সড়ক অবরোধের চেষ্টা করে বাইক আরোহীরা। এসময় ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হয়ে অবরোধকারী বাইক আরোহীদের সরিয়ে দেয়। প্রায় আধাঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এরপর থেকে পদ্মা সেতুতে সেনাবাহিনী টহল দিতে থাকে।

অবরোধকারী মোটরসাইকেল আরোহীদের সরিয়ে টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী
অবরোধের সময়ের চিত্র

সাধারণ মানুষ যেন পদ্মা সেতুতে চলাচলের সময় নির্ধারিত আইন মেনে চলে, তা নিশ্চিত করতে সোমবার থেকে অতিরিক্ত কড়াকড়ি আরোপ করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সোমবার সকাল থেকে সেতুতে মোটরসাইকেল প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। হেঁটেও উঠতে দেওয়া হচ্ছে না মানুষকে। কেউ যেন অনিয়ম না করে সেজন্য নিয়মিত টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী।

রোববার সেতুর ওপর যেমন চিত্র দেখা গেছে, সোমবার পরিস্থিতি তা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। রোববার বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়া ভিডিওতে সেতুর ওপর রাস্তার পাশে মানুষকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেলেও সোমবার বলতে গেলে খালি ছিল রাস্তা। সোমবার সেতুর ওপর কোথাও কোথাও গাড়ি থামিয়ে মানুষজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই সেনাবাহিনীর টহল গাড়িতে করা সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের সরিয়ে দেয়।

পুরো সেতু এলাকাতেই রোববারের চেয়ে বেশি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি দেখা গেছে। অপ্রীতিকর ঘটনার কারণে সোমবার সকাল থেকে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার। তাই সকালে সেতুর উভয়প্রান্তে আসা মোটরসাইকেলগুলো টোলপ্লাজা থেকে ফিরিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। তবে জরুরি প্রয়োজনে আসা মোটরসাইকেল আরোহীরা পিকআপে করে সেতু পারাপার হচ্ছিলেন। কিন্তু দুপুর থেকে মোটরসাইকেলবাহী পিকআপও ফিরিয়ে দেয় পদ্মা সেতুর টোলপ্লাজা কর্তৃপক্ষ। সেতু কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে অনেক বাইক আরোহী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।  এরপর তারা সড়ক অবরোধ করে।

পদ্মা সেতুর জাজিরাপ্রান্তের টোলপ্লাজার ম্যানেজার কামাল হোসেন বলেন, ‘ভারী মালামাল পারাপারের জন্য পিকআপের অনুমতি দেয়া হয়েছে।কিন্তু পিকআপে করে মোটরসাইকেল ও মানুষ পারাপারের অনুমতি নেই। তাই এগুলো আমরা বন্ধ রেখেছি।’

বহুল প্রতীক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতু যানবাহনের জন্য খুলে দেয়ার প্রথমদিনেই ঘটে অপ্রীতিকর ঘটনা। সেতুতে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর কারণে দুর্ঘটনায় কবলে পড়ে দুই আরোহী নিহত হন। এছাড়া সেতুতে মোটরসাইকেল থামিয়ে সেলফি তোলা, টিকটক করা ও সেতুর রেলিংয়ের নাট-বল্টু খোলার ঘটনাও ঘটে। এতে সোমবার সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ