স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ মারা গেছেন। আজ বুধবার সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। নির্মল রঞ্জন গুহের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। শোক জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম ছাড়াও আরও শোক জানান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম ও গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
নির্মল রঞ্জন গুহের মৃত্যুতে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। বিবৃতিতে তিনি নির্মল রঞ্জন গুহ’র আত্মার শান্তি কামনা এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
গভীর শোক ও দু:খপ্রকাশ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, নির্মল রঞ্জন গুহের মোহমুক্ত নিবেদিতপ্রাণ রাজনৈতিক জীবন রাজনীতিকদের জন্য চির অনুপ্রেরণার। ২০১৯ সালে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার অনেক আগে থেকে ছাত্রলীগের হাত ধরে নির্মল রঞ্জন গুহের রাজনীতিতে পথচলা শুরু। ছাত্রাবস্থায় তিনি ঢাকার দোহার উপজেলায় নয়াবাড়ী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক থেকে শুরু করে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। রাজনীতিকে তিনি দেশ ও মানুষের সেবার ব্রত হিসেবেই নিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক এক শোকবার্তায় নির্মল রঞ্জন গুহের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এক শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শোকবার্তায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘নির্মল রঞ্জন গুহ স্বেচ্ছাসেবক লীগকে একটি শক্তিশালী ও জনবান্ধব সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে একজন নিবেদিত প্রাণ কর্মীর ন্যায় সজাগ ছিলেন। তার অকাল প্রয়াণে শুধু স্বেচ্ছাসেবক লীগই নয়, পুরো দেশবাসীই শোকাহত। তার গতিশীল নেতৃত্ব ও কার্যক্রমের ফলে তিনি আমাদের মাঝে চির অমলিন হয়ে বেঁচে থাকবেন।’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম এক শোক বাণীতে বলেন, নির্মল রঞ্জন গুহ এক সজ্জন ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি রাজনীতি করতেন মানুষের কল্যাণে।’ তিনি আরো বলেন, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগকে তিনি তৃণমূল পর্যায়ে শক্তিশালী করতেও কাজ করেছেন।
তাঁর বিদায়ের মধ্য দিয়ে একজন পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিকের প্রস্থান হল বলে উল্লেখ করে তার আত্মার শান্তি কামনা করেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিম এক শোক বিবৃতিতে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। বিবৃতিতে তিনি স্বর্গীয় নির্মল রঞ্জন গুহের পবিত্র আত্মার শান্তি কামনা এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ শোকবার্তায় নিহতের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
গত ১২ জুন রোববার রাতে রক্তচাপ বেড়ে গেলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন নির্মল রঞ্জন গুহ। পরে দ্রুত তাকে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার হার্টে দু’টি ব্লক ধরা পড়লে রিং বসানো হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি ঠেকানো যায়নি। এরপর গত ১৬ জুন তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। এর আগেও তিনি হার্টের সমস্যায় ভারতে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। ২০২০ সালের জুনে শেষ সপ্তাহে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন নির্মল রঞ্জন গুহ।
ছাত্রলীগ দিয়ে রাজনীতিতে পথচলা নির্মল রঞ্জন গুহের। ছাত্রজীবনে তিনি নয়াবাড়ী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। পরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন। তিনি ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন। পরে সভাপতি হন।