Search
Close this search box.

পদ্মা সেতু তৈরিতে যারা ষড়যন্ত্র ও বিরোধিতা করেছে তাদের বিচার করা ছাড়া বিকল্প পথ নেই : প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

পদ্মা সেতু তৈরিতে যারা ষড়যন্ত্র ও বিরোধিতা করেছে তাদের বিচার করা ছাড়া বিকল্প পথ নেই : প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার : পদ্মা সেতু তৈরিতে যারা ষড়যন্ত্র ও বিরোধিতা করেছে তাদের বিচার করা ছাড়া বিকল্প পথ নেই বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছেন মন্ত্রী।

বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘পদ্মা সেতু: সম্প্রীতির পথে সাফল্যের অগ্রযাত্রা’- শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এমন দাবি করেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু তৈরিতে যারা প্রত্যক্ষ আর পরোক্ষভাবে ষড়যন্ত্র ও বিরোধিতা করেছে তাদের বিচার করা ছাড়া বিকল্প পথ নেই। তিনি ড. ইউনূস হোক কিংবা যে কেউ হোক, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। আজকে তাদের ছেড়ে দিলে অনেকে পার পেয়ে যাবে। মনে করবে এসব করলে তো কিছুই হয় না। এসব লোক দেশের প্রচলিত আইনে অপরাধী।

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া আগে বলেছিলেন- ‘পদ্মা সেতু জোড়াতালি দিয়ে বানানো হচ্ছে, কেউ উঠবেন না।’ এখন তাদের জিজ্ঞেস করলে তারা বলে এ ধরনের কথা তিনি বলেননি। এখন নতুন করে বলা হচ্ছে- পদ্মা সেতুতে বেশি খরচ হয়েছে। অবৈধ পথে যারা বাংলাদেশের উন্নয়ন বন্ধ করতে চেয়েছে তাদের মুখে চপেটাঘাত এই পদ্মা সেতু।

পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে করা ষড়যন্ত্রে ড. ইউনূস একা ছিলেন না বলে জানান সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ড. ইউনূস কী একাই ষড়যন্ত্র করেছিলেন? তার সঙ্গে অনেকে ছিলেন। তারাও ড. ইউনূসের সঙ্গে থেকে ষড়যন্ত্র করেছেন।

কে এম খালিদ আরও বলেন, ষড়যন্ত্রে ড. কামাল হোসেনের মেয়ে ছিলেন। তার নেতৃত্বে গুলশানে ড. ইউনূসসহ অনেকে সভা করেছেন বিশ্বব্যাংককে দিয়ে পদ্মা সেতুর লোন কী করে বাতিল করা যায়।

সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন নির্দোষ ছিলেন উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তখন তাকে কেউ ছেড়ে দেয়নি। নিয়মিত তাদের বিরুদ্ধে সবাই লেগেছিল। আজ দেখা যায় তিনি নির্দোষ ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন তাকে পাশে নিয়েছেন।

আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন অভিনেতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়। আরও বক্তব্য দেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাংবাদিক সুভাষ সিংহ রায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অসীম সরকার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল হাসান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ