Search
Close this search box.

সারাদেশে বসছে ৪৪০৭ পশুর হাট

সারাদেশে বসছে ৪৪০৭ পশুর হাট

রাকিব হাসান \ আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে সারাদেশে ৪ হাজার ৪০৭টি গবাদি পশুর হাট বসবে। আর এসব হাটে মাস্ক ছাড়া প্রবেশ করা যাবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বুধবার সচিবালয়ে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে এবং শিল্পাঞ্চলে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ১০টি ও দক্ষিণের ((ডিএসসিসি)) ১২টিসহ সারা দেশে ৪ হাজার ৪০৭ টি পশুর হাট বসবে। এ সংখ্যা হয়তো দু-একটা বেশি-কম হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, হাটগুলোতে প্রয়োজন অনুযায়ী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থাকবে। পশুর হাটের টাকা পুলিশের সহযোগিতায় বহন করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। মহাসড়ক ও সড়কে কোনো পশুর হাট বসানো যাবে না জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, পশুর হাটে মাস্ক পরে ঢুকতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। এ বছর ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মোড়ে ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করে বাইনোকুলার ও সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও পকেটমারসহ অন্যান্য দুষ্কৃতিকারীদের যাতে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, যোগ করেন আসাদুজ্জামান খান। এ বছর বাস, লঞ্চ, ট্রেন ও ফেরিঘাট ছাড়াও পদ্মা সেতুর দুই পাড়ে গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, ঈদযাত্রা যানজটমুক্ত করতে সারাদেশে হাইওয়ে পুলিশের ১০৯টি টহল দল, ৮৪টি কুইক রেসপন্স দলসহ ওয়াচ টাওয়ার, রেকার ও অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা থাকবে।

ঈদের ছুটিতে মহানগর, জেলা ও উপজেলার হাটবাজারে চুরি- ডাকাতি, ছিনতাই প্রতিরোধে পুলিশ, র‌্যাব ও গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হবে। কোনো পশুবাহী নৌযান বা ট্রাককে জোরপূর্বক নির্দিষ্ট স্থানে বা হাটে যেতে বাধ্য করা যাবে না।

এবার সারাদেশে ৪৫ হাজার ময়দানে এবং ৫০ হাজারের মতো মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। জামাতে অংশ নেওয়া মুসল্লিদের মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং স্বাস্থ্য নির্দেশনা পালন করতে হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ঈদের আগেই পোশাক শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) ও বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে এবং তারা এ বিষয়ে সরকারকে আশ্বস্ত করেছে।

পোশাক শ্রমিকদের ছুটি পার্যায়ক্রমে দেওয়া হবে। তবে কোন তারিখ থেকে ছুটি দেওয়া হবে তা নির্ধারণ করা হয়নি বলেও জানান তিনি। কোনো স্বার্থান্বেষী মহল যাতে গুজব বা উস্কানি দিয়ে শিল্প এলাকায় কোনো ধরনের নাশকতা করতে না পারে সেজন্য গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে। কাঁচা চামড়া যাতে বিদেশে পাচার না হতে পারে, সেদিকেও নজরদারি থাকবে। পোশাক কারখানার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখা আগামী ৮ ও ৯ জুলাই খোলা থাকবে এবং চাঁদ দেখা সাপেক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের ঘোষণায় তা জানিয়ে দেবেন। ঈদে যেকোনো নাশকতা প্রতিরোধে সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হবে।

গোয়েন্দা প্রতিবেদন অনুযায়ী ঈদে কোনো নাশকতার শঙ্কা আছে কি না- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত ঈদে নাশকতার আশঙ্কার নিয়ে কোনো খবর আসেনি। তবে খবর না আসলেও গোয়েন্দারা সজাগ থাকবে।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ