স্টাফ রিপোর্টার : ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়-মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ নাতনিদের নিয়ে আজ পদ্মা সেতু হয়ে টুঙ্গিপাড়ায় গেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুপুর ১২ টায় তিনি টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান। তার পৈতৃকনিবাস পরিদর্শন করেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে প্রার্থনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং কন্যা সায়মা ওয়াজেদকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে ফাতেহা পাঠ করেন ও জাতির পিতা এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নৃশংস হত্যাযজ্ঞের অন্যান্য শহীদদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাতে যোগ দেন। শেখ হাসিনা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু এবং দেশের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেও দোয়া করা হয়।
গণভবন থেকে সকাল আটটার পরপরই টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। যাত্রাপথে জাজিরা প্রান্তে সার্ভিস এরিয়ায় ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে কিছুটা সময় বিশ্রাম নেন তিনি। টুঙ্গিপাড়া যাওয়ার পথে পদ্মা সেতুতে থেমে ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে নিয়ে ছবিও তুলেন প্রধানমন্ত্রী। সকাল সোয়া ১০টার দিকে মাওয়া প্রান্ত থেকে টুঙ্গিপাড়ার পথে রওনা হয় প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর।
পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। প্রধানমন্ত্রী পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। বিকালে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে টুঙ্গিপাড়া ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী।
সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে প্রধানমন্ত্রী দেশের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন।সেই পদ্মা সেতু হয়ে এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় গেছেন। এতে জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উচ্ছ্বসিত ও উদ্বেলিত। টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন ও স্বাগত জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রী একান্ত পারিবারিক সফরে টুঙ্গিপাড়ায় গেছেন। তিনি সড়ক পথে গেছেন। বেশ কিছু সময় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কাটাচ্ছেন। টুঙ্গিপাড়ার আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ উচ্ছ্বসিত। অধীর আগ্রহে প্রধানমন্ত্রীর আগমনের প্রহর গুনছিলেন নেতাকর্মীরা।