স্টাফ রিপোর্টার : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, জনগণ থেকে দূরত্ব সৃষ্টি করে নয় বরং জনসম্পৃক্ততা অব্যাহত রেখে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই হবে আপনাদের কৃতিত্ব। ঢাকা সেনানিবাসে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বঙ্গভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
পিজিআরের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি বলেন, আপনাদের মনে রাখতে হবে-আপনাদের উপর অর্পিত পবিত্র দায়িত্ব একদিকে যেমন গৌরবময়, তেমনি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর। আপনাদের মূল দায়িত্ব হচ্ছে ভিভিআইপিদের জন্য সর্বাত্মক, সমন্বিত ও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। তবে নিরাপত্তার সাথে সাথে ভিভিআইপিদের জনসংযোগের বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে।
আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির প্রশিক্ষণ গ্রহণের আহবান জানিয়ে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক আবদুল হামিদ বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দ্রুত বিকাশের সাথে সাথে বিশ্বব্যাপী জঙ্গি-সন্ত্রাসীরা তাদের কার্যকলাপ ও অপরাধের ধরনে পরিবর্তন আনছে। তারা পারস্পরিক যোগাযোগ ও অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে প্রযুক্তির আশ্রয় নিচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আপনাদেরও তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও কৌশলগত উৎকর্ষ অর্জন করতে হবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ৫ জুলাই পিজিআর প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯১ সালে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের পর রাষ্ট্রপতির পাশাপাশি সরকারপ্রধানের নিরাপত্তার দায়িত্ব এই রেজিমেন্টের ওপর বর্তায়।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, বৈশ্বিক করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে অন্যান্য দেশের মত আমাদের দেশেও জীবনযাত্রা এবং জীবনব্যবস্থায় এসেছে আমূল পরিবর্তন। এ পরিস্থিতিতেও আপনারা আপনাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব দক্ষতার সাথে সম্পন্ন করছেন, যা খুবই প্রশংসনীয়। গত বছর স্বাধীনতা ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিব শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানেও আপনারা নিষ্ঠা, দক্ষতা এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করেছেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রতিনিয়ত আপনাদের দায়িত্বের পরিধি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে কারণে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের সাংগঠনিক কাঠামো বৃদ্ধি করা হয়েছে। আগামীতেও দায়িত্বের ব্যাপকতা বিশ্লেষণ সাপেক্ষে এই রেজিমেন্টকে আরও অধিক সুসংহত করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, সেনাবাহিনী ও পিজিআরের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপ্রধানকে ভার্চুয়ালি পিজিআর সদরদপ্তর থেকে সালামি গার্ড দেওয়া হয়। অনুষ্ঠান শেষে পিজিআরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গভবনে কেক কাটেন রাষ্ট্রপতি।